দারচিনির গুণেই ভাল থাকবেন মহিলারা। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় নানা রকম মশলার ব্যবহার শুধু স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্য নয়। প্রতিটি মশলার আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। আলাদা করে তো সব ধরনের মশলা খাওয়া যায় না, তাই প্রতিদিনের খাবারে একটু একটু করে সেই সব মশলা যোগ করা হয়। হলুদ-জিরে-ধনে, এমনকি গরম মশলারও কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন রকম পানীয়ের মধ্যে দারচিনি মিশিয়ে খান। চায়ের মধ্যেও এই মশলা দিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অন্যান্য মশলার চেয়েও গরম মশলার মধ্যে থাকা দারচিনি মহিলাদের জন্য বিশেষ উপকারী। কী কী কাজে লাগে এই মশলা?
১) ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে:
ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে হলে আগে হরমোনের সমতা বজায় রাখতে হবে। এই কাজে সাহায্য করে দারচিনি। ডিটক্স ওয়াটার, স্মুদির মধ্যে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেটে যন্ত্রণা, অতিরিক্ত রক্তপাতের মতো সমস্যা নিরাময় হতে পারে।
২) পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে:
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, হরমোনের হেরফেরে অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস)এর সমস্যায় ভোগেন। যার ফলে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ব্যাহত হয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারচিনি দারুণ কাজ করে। ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকলে পিসিওএস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে:
শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে দারচিনি। খাবার খাওয়ার পরেই রক্তে হঠাৎ শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার। ডায়াবিটিস বশে রাখতে পারলে অনেক রোগের আশঙ্কাই এড়িয়ে চলা যায়।
দারচিনি দেওয়া জল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ওজন ঝরাতে:
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, অথচ ওজন ঝরাতে চান। বিপাকহার উন্নত করা থেকে রক্তে শর্করার হেরফের— সবই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এক চিমটে দারচিনি। পুষ্টিবিদেরা বলেন, শরীরচর্চা এবং ডায়েটের পাশাপাশি— দারচিনি দেওয়া জল খেলেও এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) হার্টের জন্য ভাল:
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত দারচিনি খেলে এই ধরনের ঝুঁকি কমতে পারে। কারণ, এই মশলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখে এবং হার্টের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার জন্য লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরমার্শ করুন।