ডায়াবেটিকদের জন্য কি ভাতঘুম উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস হোক বা বাড়ি, দুপুরের খাবার পেটে পড়লেই ঘুমে চোখ ঢুলে আসে অনেকের। তবে ঘুমোলেই তো মুশকিল, ওজন বেড়ে যায় যে! অনেকেই মনে করনে, দুপুরে ঘুমোলেই ওজন বেড়ে যায়। তবে দিবানিদ্রা কিন্তু মোটেও বদভ্যাস নয়। বরং এই অভ্যাস খুবই স্বাস্থ্যকর। কম সময়ের জন্য হলে সেটা শরীরের পক্ষে ভাল। তবে ভাতঘুম লম্বা হয়ে গেলেই মুশকিল! তাই বাড়িতে থাকলে তো বটেই, অফিসেও দুপুরের খাওয়া সেরে সুযোগ পেলে নিয়ে নিতে পারেন ‘মিনি ন্যাপ’। শরীর চাঙ্গা করতে এই অভ্যাসের কোনও জুড়ি নেই। জেনে নিন ভাতঘুম কেন এত জরুরি।
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমোনোর অভ্যাস আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিয়ে পারে।
২) ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। খাওয়ার পর ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পড়াই ভাল। এতে মন ও মেজাজ দুইই চাঙ্গা থাকে। মানসিক চাপও কমে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, পিসিওডির সমস্যা থাকলে বেশ উপকারী।
৩) কাজের মাঝে ক্লান্তি এলে অনেকেই ভরসা রাখেন এক কাপ কফিতে। অনেকেই ঠিক মতো মনঃসংযোগ করতে পারেন না। দুপুরে খাওয়ার পর মিনিট দশেকের ঘুম কফির থেকেও বেশি কার্যকর হতে পারে। এই অভ্যাস আপনার ক্লান্তি দূর করবে। কাজের মাঝে মনঃসংযোগ বাড়বে।
৪) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাওয়ার পর আধ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঘুমোলে মানসিক চাপ কমে, সে কারণে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদ্স্পন্দনের হারও স্বাভাবিক থাকে।
জেনে নিন ভাতঘুম কেন এত জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৫) কাজ করতে করতে অনেক সময়ে একঘেয়েমি আসে। মাথায় নতুন চিন্তা-ভাবনা আসে না। ফলে কাজের ক্ষতি হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি কিছু ক্ষণ ঘুমিয়ে নেন, তা হলে আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে। কিছু ক্ষণের ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ঘুমের সময় কী কী নিয়ম মানতে হবে?
১) চেষ্টা করুন দুপুর ৩টের আগেই ঘুমিয়ে পড়ার। বিকেলের দিকে ঘুমোলে চলবে না।
২) দুপুরে খাবারের পর চা, কফি, চকোলেট, সিগারেট না খাওয়াই ভাল। তা হলে ঘুম আসবে না মোটেই।
৩) ঘুমোনোর সময় ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না।
৪) ৩০ মিনিটের বেশি ঘুম নয়।