ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর পর থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ওজন ঝরাতে। তবে শুধু শরীরচর্চা করলেই তো হবে না! তার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে। বাড়িতে থাকলে তেমন খাবার বানিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু মুশকিল হয়, বাইরে বেরোলে। খিদের মুখে চোখের সামনে লোভনীয় খাবার দেখে চুপ করে বসেও থাকা যায় না। তাতেই মেদ ঝরানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তা ছাড়া শরীরের ক্ষতি করতে না চাইলে এই সব খাবার না খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, টুকটাক মুখ চালানোর জন্যে মুখরোচক খাবার না খেয়ে সঙ্গে রাখতে পারেন ছোলা। কাঁচাই হোক বা ভাজা, ছোলা খেলে মেদ ঝরানোর কাজ সহজ হবে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম ছোলা থেকে পাওয়া যায় ১৬০ কিলোক্যালোরি। তার মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ ৬০ গ্রাম এবং ফ্যাটের পরিমাণ ৫.৬ গ্রাম। এ ছাড়া ছোলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম খনিজ। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ছোলা। এ ছাড়া আর কী কী উপকার করে ছোলা?
১) ফাইবার
ছোলায় ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। পেটের সমস্যা থাকলেও ছোলা খাওয়া যায়। কারণ, ছোলার ফাইবার সহজপাচ্য। তাই যে কোনও বয়সের মানুষই ছোলা খেতে পারেন।
২) প্রোটিন
ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। পেশির গঠন মজবুত করতে এবং বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে ছোলা। ফলে শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরানোর কাজ সহজ হয়।
৩) গ্লাইসেমিক ইনডেক্স
ভাজা ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। তাই ছোলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। ফলে ডায়াবিটেক রোগীরা তা খেতে পারেন অনায়াসে। যে হেতু রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হয় না, তাই বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণে থাকে ছোলা খেলে।