হালকা ঠান্ডা পড়তে পড়তেই ঝাল ঝাল করে রেঁধে ফেলুন কাঁকড়া কষা। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের ক’দিন ধরে মাছ-মাংস-ডিম খেয়ে মুখে অরুচি হয়েছে। তাই মাছ-মাংসের পদ দেখলে মোটেই আর খেতে ইচ্ছে করছে না। রুচি ফেরাতে যদি নিরামিষ পদ রান্না হয়, তা হলেও খাওয়াদাওয়া মাথায় উঠবে। সেই সময়ে হাল ধরতে পারে কাঁকড়া। স্বাদবদল হবে, আবার নিরামিষ খাবার খেতে হচ্ছে বলে কেউ অভিযোগও করতে পারবেন না। তাই হালকা ঠান্ডা পড়তে পড়তেই এক দিন ঝাল ঝাল করে রেঁধে ফেলুন কাঁকড়া কষা। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
কাঁকড়া: ২টি
আদা-রসুন বাটা: ২ চা চামচ
টম্যাটো কুচি: আধ কাপ
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
গোটা গরম মশলা: আধ চা চামচ
কাঁচালঙ্কা: ২-৩টি
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৫-৬ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী:
১) প্রথমে কাঁকড়া ভাল করে ছাড়িয়ে, কেটে সামান্য গরম জলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
২) এ বার কাঁকড়াগুলি নুন, হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ।
৩) কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হতে দিন। তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা কাঁকড়া ভাল করে ভেজে নিন।
৪) ওই তেলের মধ্যেই ফোড়ন হিসেবে দিয়ে দিন গোটা গরম মশলা এবং শুকনো লঙ্কা।
৫) সামান্য ভাজা হলে তেলের মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। অল্প ভাজা হলে তার মধ্যে দিয়ে দিন আদা, রসুন বাটা।
৬) ভাল করে ভাজা হলে এ বার দিন টোম্যাটো কুচি। এই সময়েই সামান্য একটু নুন দিয়ে ভাল করে কষাতে থাকুন। কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে দিন।
৭) তেল ছেড়ে এলে হলুদ, লঙ্কা, জিরে এবং গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে আবার কষাতে থাকুন।
৮) তেল ছেড়ে এলে ওই মিশ্রণে আগে থেকে ভেজে রাখা কাঁকড়া দিয়ে দিন।
৯) কষানো হয়ে গেলে এবং মশলা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে সামান্য জল দিয়ে দিন।
১০) কাঁকড়ার মাংস সেদ্ধ হলে এবং ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
১১) চাইলে উপর থেকে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।