শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই। ছবি- সংগৃহীত
সুস্থ এবং নীরোগ জীবনের চাবিকাঠি হল ‘হরমোন’। অবিশ্বাস্য হলেও এ কথা সত্যি যে শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে হরমোনের উপরই। তাই সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা থাকা জরুরি। আচমকা অনেকটা ওজনবৃদ্ধি কিংবা ওজন ঝরে যাওয়া যেমন হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে, তেমনই গোছা গোছা চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, মধ্যবয়সে মুখ ভর্তি ব্রণর সমস্যার কারণই হল শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করে ভুল করে থাকেন অনেকে। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই।
১) ক্যাফিনজাতীয় পানীয়
অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এই জাতীয় পানীয় শরীরে কর্টিজ়ল হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যার উপর শরীরে প্রদাহের বাড়াকমা নিয়ন্ত্রিত হয়। শুধু তা-ই নয়, এই অভ্যাসে ঘুমের স্বাভাবিক চক্রও ব্যাহত হয়।
২) মদ্যপান
অতিরিক্ত মদ্যপান কিন্তু হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে শরীরে হরমোনের সমতা নষ্ট হতে পারে। এই অভ্যাসে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে যৌনজীবনেও তার প্রভাব পড়ে। কাজেই সীমা রেখে মদ্যপান করুন।
৩) ধূমপান
ক্যানসার ছাড়াও শরীরে যে কোনও রোগ বাড়িয়ে তোলার পিছনে ধূমপানের হাত রয়েছে। ধূমপান করলে প্রভাব পড়ে প্রজনন ক্ষমতার উপরেও।
৪) উদ্বেগ
একা হাতে অফিস এবং বাড়ির সব কিছু সামলাতে গিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ নিয়ে ফেলছেন? কাজ নিশ্চয়ই থাকবে, তবে সেই সংক্রান্ত উদ্বেগ কমাতে হবে। আর কোনও বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা করবেন না। অতিরিক্ত রাগ, মানসিক চাপ, নেতিবাচক চিন্তা কিন্তু হরমোনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
৫) অপর্যাপ্ত ঘুম
শরীর ও মন ভাল রাখতে গেলে ঠিক মতো ঘুমেরও প্রয়োজন আছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার। ঠিক মতো না ঘুমোলে ক্লান্তি দেখা দেয়, যা থেকে নেতিবাচক চিন্তাও জন্ম নিতে পারে। ঘুম ভাল হলে কাজ করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতাও পাওয়া যায়। মনে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়।