কী ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করবেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কার কাছে প্রশিক্ষণ নেবেন। ছবি- সংগৃহীত
শরীরের সব মেদ ঝরে গেলেও পেটের ওই থলথলে চর্বি কিছুতেই কমতে চায় না। এই সমস্যা ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। তবে বয়স ৪০ পেরোলে এই সমস্যা কিন্তু আরও জাঁকিয়ে বসে। তখন খাওয়ার তালিকায় পরিবর্তন করেও কিছুতেই কমানো যায় না পেটের মেদ। তবে এই প্রসঙ্গে মেয়েদের একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। কারণ একটা বয়সের পর মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে শুরু করে। যার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে এ ক্ষেত্রে, কী ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করবেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কার কাছে প্রশিক্ষণ নেবেন। এ ছাড়াও আর কোন কোন বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি?
১) স্ট্রেন্থ ট্রেনিং
শুধু বডি বিল্ডার বা অ্যাথলিটদেরই যে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করতে হয়, এমনটা কিন্তু নয়। আবার অনেকেই মনে করেন, ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করলে বোধ হয় শরীরের গড়ন নষ্ট হয়ে যায়। এমন ধারণাও কিন্তু ভিত্তিহীন। দেহের পেশিগুলি সবল এবং সচল রাখতে ৪০-এর পরেও কিন্তু স্ট্রেন্থ ট্রেনিং শুরু করা যায়।
২) নমনীয়তা
শরীরের সব অঙ্গের নমনীয়তা বজায় রাখতে যোগাভ্যাস বা পিলাটিজ়ের মতো শরীরচর্চা করতে পারেন। এই ব্যায়ামে শরীর অভ্যস্ত হয়ে পড়লে ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রাও বাড়ানো যেতে পারে।
ঠিক যতটা শরীরচর্চা করলে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না বলে মনে হচ্ছে, ততটাই শরীরচর্চা উপযুক্ত। ছবি- সংগৃহীত
) শরীরের ইঙ্গিত বুঝতে হবে
শরীরচর্চা যেমন করতে হবে, তেমনই শরীরকে বিশ্রামও দিতে হবে। শুরুর দিকে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলে ব্যথা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ইঙ্গিতগুলি বুঝতে হবে। ঠিক যতটা শরীরচর্চা করলে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না বলে মনে হচ্ছে, ততটাই শরীরচর্চা উপযুক্ত। এ ক্ষেত্রে শরীরের উপর কোনও জোর করা যাবে না।
৪) স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। পুষ্টিকর খাবার না খেলে দেহের পেশি মজবুত হবে না। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি রাখতে হবে সবুজ শাক-সব্জি। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে।
৫) প্রশিক্ষক নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে
যোগব্যায়াম করুন বা জিম, সঠিক প্রশিক্ষক থাকা জরুরি। কারণ, বয়স এবং প্রত্যেকের শরীরের আলাদা আলাদা প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষকই ঠিক করে দেবেন, কার কতটুকু শরীরচর্চা করা জরুরি বা কে কী ধরনের ব্যায়াম করবেন। অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি তাই প্রশিক্ষক নির্বাচনের ব্যাপারেও যথেষ্ট সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।