How to Get Rid of a Stye

ঘন ঘন আঞ্জনির সমস্যায় ভোগেন? দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী করবেন, কী করবেন না?

আঞ্জনি তেমন বড় কোনও সমস্যা না হলেও দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কী ভাবে চটজলদি রেহাই পাবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০২
Share:
image of styes

অনেকে আছেন ‌যাঁরা ঘন ঘন আঞ্জনির সমস্যায় ভোগেন। ছবি: সংগৃহীত।

আঞ্জনি এমন কিছু বিরল রোগ নয়, চোখের পাতায় ছোট ছোট ফোড়া বা গোটা বেরোলে তাকেই আঞ্জনি বলে। বছরের বিভিন্ন সময়ে এই সমস্যা দেখা দেয় চোখে। সারতে সময় লাগে সপ্তাহ খানেক। চোখে নোংরা জমা বা পরিষ্কার করে চোখ না ধোয়া আঞ্জনির কারণ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘স্টাই বা হরডিয়োলাম’। চোখে অনেক ক্ষুদ্র তৈলগ্রন্থি আছে। বিশেষ করে চোখের পাতার উপর। সেই গ্রন্থিগুলিতে মৃত কোষ, ময়লা, তেল জমে ওই মুখগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এর থেকেই আঞ্জনির মতো সমস্যা হয়। আঞ্জনি তেমন বড় কোনও সমস্যা না হলেও দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কাও থাকে। তাই আঞ্জনি হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

Advertisement

এই সমস্যা প্রায়ই আমাদের ভোগায়। কিন্তু কী ভাবে আঞ্জনির সমস্যা কমাবেন? তার জন্য কি প্রচুর ওষুধ দরকার? মোটেই না। অনেকে আছেন, ‌যাঁরা ঘন ঘন আঞ্জনির সমস্যায় ভোগেন। কী কী টোটকা মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার, রইল তার হদিস।

১) আঞ্জনির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নরম কাপড় বা রুমাল দিয়ে খুব হালকা হাতে গরম সেঁক দিতে পারেন। বেশি চাপ দিয়ে সেঁক দেবেন না যেন। সেঁক দেওয়ার ফলে গ্রন্থির মুখে জমে থাকা তেল শুকিয়ে যাবে। ব্যথাও দ্রুত কমবে।

Advertisement

২) আঞ্জনি হলে চোখে কোনও ধরনের লেন্স না পরাই ভাল। এতে সমস্যা বাড়বে বইকি।

৩) চোখে আঞ্জনি হলে ভুলেও মেকআপ করবেন না। এতে অন্য চোখেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। মেকআপ করলে তার থেকেও সংক্রমণ বাড়তে পারে।

আঞ্জনি হলে চোখে কোনও ধরনের লেন্স না পরাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।

৪) চায়ের পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকে। লিকার চায়ের গরম টি ব্যাগ দিয়েও চোখে ভাপ দিতে পারেন। এতে চোখের ফোলা ভাব কমবে। সংক্রমণও কমবে।

৫) চোখের পাতায় খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন। তবে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর আগে ভাল করে দেখে নিন তেলটির মেয়াদ কবে উত্তীর্ণ হচ্ছে। যদি মেয়াদের মধ্যে থাকে, তা হলে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই তেল।

অনেকের অভ্যাস থাকে আঞ্জনি ফাটিয়ে দেওয়ার। এই ভুল করবেন না যেন। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে, ব্যথাও বাড়বে। তাই বিভিন্ন উপায় আঞ্জনি কমানোর চেষ্টা করুন, ফাটানোর মতো ভুল করবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement