রাতে বার বার প্রস্রাবের জন্য উঠতে হলে আপনাকে ধরে নিতে হবে, আপনার মূত্রথলিতে সমস্যা হচ্ছে। ছবি: শাটারস্টক
অনেকেরই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এর কারণ মূত্রাশয়ের পেশির সমস্যা। যাঁদের মূত্রাশয়ের পেশি তুলনায় দুর্বল হয়, তাঁদের ঘন ঘন প্রস্রাব পেতে থাকে। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে শৌচালয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। বাড়ি থেকে বেরিয়েও আবার তলপেটে চাপ পড়তে থাকে। কোথাও ঘুরতে গেলে বা রোড ট্রিপে গেলে সমস্যা আরও বাড়ে।
সারা দিনে ৬ থেকে ৮ বারের বেশি প্রস্রাব হলে, প্রস্রাব চেপে রাখতে না পারলে, রাতে বার বার প্রস্রাবের জন্য উঠতে হলে আপনাকে ধরে নিতে হবে, আপনার মূত্রথলিতে সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিন্তু কিছু কিছু খাবার বা পানীয় রোজকার পাত থেকে বাদ দিলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। কোন কোন খাবার বাদ দেবেন? রইল তালিকা।
১) সোডাযুক্ত পানীয়: যদি মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হয়, তা হলে সোডা-যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। ঠান্ডা পানীয় বা লেমনেডে থাকা দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড মূত্রাশয়ে চাপ দেয়। ফলে সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় একেবারেই এই প্রকার পানীয় খাওয়া যাবে না।
২) কফি: যাঁদের মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল, তাঁদের কফি জাতীয় পানীয় বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ কফিতে ক্যাফেইন জাতীয় উপাদান থাকে। সেটি মূত্রাশয়ের পেশির উপর চাপ দেয়। ফলে এই সমস্যা বাড়তে থাকে।
যদি মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হয়, তা হলে সোডা-যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। ছবি: শাটারস্টক
৩) চিনি, না কি কৃত্রিম চিনি: অনেকেই চিনির বদলে কৃত্রিম চিনি খান। কিন্তু গবেষণা বলছে, কৃত্রিম চিনি বা সুইটনারে এমন কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মূত্রাশয়ের পেশিতে চাপ পড়ে। তাই এগুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৪) মদ্যপান: মদ জাতীয় পানীয় শরীর শুকিয়ে দেয়, শরীরে জমা জল বার করে দেয়। ফলে প্রচুর মূত্র তৈরি হতে থাকে। যাঁদের ঘন ঘন প্রস্রাব পায়, তাঁদের মদ্যপান এড়িয়ে চলাই ভাল।
যাঁদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই গরমে মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। রাস্তার ধারে শৌচালয়গুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই রকম সমস্যা থাকলে শ্রোণিদেশের পেশি মজবুত করার জন্য কিছু ব্যায়াম এবং যোগাসন করতে পারেন।