কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিছু দিনের, আবার কারও ক্ষেত্রে সারা বছরই লেগে থাকে। প্রতীকী ছবি।
প্রায় রোজই শৌচাগারে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। এই নিয়ে রোজই বাড়িতে হাসিঠাট্টা, কখনও বা অভিযোগ শুনতে হয়। এই অভিজ্ঞতা কমবেশি প্রায় সব বাড়িতেই আছে। মাঝেমধ্যে মলের সঙ্গে তাজা রক্ত দেখে আতঙ্ক হয়। কিন্তু অনেকেই এ সব সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিছু দিনের, আবার কারও ক্ষেত্রে সারা বছরই লেগে থাকে। যাঁদের এই সমস্যা দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে, তাঁদের জন্য এটা ভীষণই বিরক্তির। তবে জীবনধারার বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটালে এই রোগকে বাগে আনা সম্ভব। ডায়েটে বেশি করে ফাইবার রাখলে, বেশি করে জল খেলে, দিনে খানিকটা সময় বার করে শরীরচর্চা করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে কী কী খেতে পারেন?
১) শুকনো ডুমুর (অঞ্জির): শুকনো ডুমুরে সর্বিটল নামে যৌগ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে। রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে জল সমেত খেয়ে নিলেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই মিলবে।
২) আলুবোখরা: বড় থেকে ছোট, যে কোনও বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে দাওয়াই হতে পারে আলুবোখরা। সকালে খালি পেটে আলুবোখরা ভেজানো খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
কালো কিশমিশ ফাইবারে ভরপুর। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কালো কিশমিশ: ফাইবারে ভরপুর কালো কিশমিশ নিয়মিত ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪) মৌরির জল: মৌরি অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটব্যথা এবং বদহজম প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রকে সহজ স্বাভাবিক রাখে যা শরীরকে তার যথাযথ আকারে ধরে রাখতে বিশেষ সহায়ক। মৌরির গুঁড়োয় থাকা ইস্ট্রাগোল, ফেনকোন এবং অ্যানিথোলের উপস্থিতির কারণে এটি গ্যাস্ট্রিক উৎসেচক নিঃসরণে সহায়তা করে। রোজ রাতে এক গ্লাস জলে মৌরি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেয়ে নিলে পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৫) তুলসীর বীজ: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানে তুলসীর বীজ কিন্তু দারুণ উপকারী। এই বীজ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাসের ব্যথায় আরাম মেলে। কোষ্ঠও সাফ থাকে।