ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ছবি- সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের জেরে বেশির ভাগ মানুষেরই হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল— এ সব যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে এর থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ তো আছেই। কিন্তু এক বার ওষুধ খাওয়া শুরু করলে, সেই অভ্যাস বন্ধ করা মুশকিল। তাই প্রথম থেকেই ওষুধ নির্ভর জীবন বেছে না নিয়ে, ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
হার্টের জন্য ভাল, এমন খাবার কোনগুলি?
১) দানাশস্য
পরিশোধিত ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারের বদলে বেছে নিন দানাশস্য দিয়ে তৈরি খাবার। ফাইবার, ভিটামিন, খনিজে ভরপুর এই দানাশস্যগুলি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
২) তিসি
প্রতি দিন ১ টেবিল চামচ পরিমাণ তিসি বা ফ্ল্যাক্সসিড খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, তিসিতে ‘আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড’এর উপস্থিতিতেই হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৩) বাদাম
বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখতে এই যৌগটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ‘হার্ট ইউকে’-এর মতে, বাদামে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা ধমনীতে খারাপ মেদ জমতে বাধা দেয়।
হার্টের জন্য ভাল, এমন খাবার কোনগুলি? ছবি- সংগৃহীত
৪) সয়াজাত খাবার
টোফু, সয়া দুধের মতো ‘সয়াফুড’ খেলেও কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, এই সব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। ‘হার্ট ইউকে’এর মতে, “মাংস বা ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প হিসাবে সয়াজাত খাবার বেছে নেওয়াই ভাল।”
৫) বিট
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান হল নাইট্রেট। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’ বলছে, কোরোনারি আর্টারি ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত রোগীরা ১ গ্লাস করে নিয়মিত বিটের রস খেলে রক্তবাহিকার প্রদাহ কমে।