প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কেন খাবেন ফুটির বীজ? ছবি: সংগৃহীত।
আম, কাঁঠাল, লিচু এবং তরমুজের মতো গ্রীষ্মে সহজলভ্য একটি ফল হল ফুটি। মিষ্টি গন্ধে ভরা ফুটির পুষ্টিগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই ফল। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই ফলে থাকা বিশেষ উপাদান ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। কিন্তু ফুটি খেয়ে তার বীজগুলি নিশ্চয়ই ফেলে দেন? পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের চেয়েও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে তার বীজে। তাই গরমকালে ফুটি তো খাবেনই। কিন্তু যখন ফুটি পাওয়া যাবে না, তখন ফুটির বীজ খেয়েই ঘাটতি পূরণ করে ফেলতে পারেন।
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কেন খাবেন ফুটির বীজ?
১) প্রোটিনে ভরপুর
দেহের পেশি মজবুত করতে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— ইদানীং সকলেই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়ার উপর জোর দেন। ফুটির বীজে প্রোটিনের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। তাই মাছ, মাংস, ডিম ছাড়াও প্রোটিনের জন্য ভরসা রাখতে পারেন এই বীজে।
২) ফাইবারে সমৃদ্ধ
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ফাইবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ফুটির বীজ অন্ত্রের স্বাস্থ্য থেকে পরিপাকতন্ত্র, ভাল রাখতে জরুরি ফাইবার। ফুটির বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ফুটির বীজ। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে থাকা ‘খারাপ’ স্নেহ পদার্থটির পরিমাণ বেড়ে গেলে তা ধমনীর গায়ে জমা হতে থাকে। সেখান থেকে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। ফুটির বীজ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৪) প্রদাহ কমায়
প্রদাহ শরীরে খারাপ এবং ভাল দু’ভাবেই কাজ করে। শরীরে রক্ষা করার সহজাত একটি প্রতিক্রিয়া। আবার গবেষণা বলছে, ডায়াবিটিস, হার্টের রোগ এবং স্থূলতা বাড়িয়ে তোলার নেপথ্যেও প্রদাহের হাত রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ফুটির বীজ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৫) হাড় মজবুত করে
‘জার্নাল অফ ফার্মাকগনোসি এবং ফাইটোকেমিস্ট্রি’-তে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে ফুটির বীজে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই সব যৌগগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে সাহায্য করে।