শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে হেঁশেলের ১ মশলার গুণেই। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। শীতের সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। এক বার কাশি শুরু হলে সেই কাশি সারতে সময় লেগে যাচ্ছে মাস খানেক। চিকিৎসকদের কেউ কেউ বলছেন, কোভিডের নয়া রূপের সংক্রমণেই কাহিল হচ্ছেন রোগীরা। এই পরিস্থিতিতে নিজের আর পরিবারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি নজর দিতেই হবে। তবে মুঠো মুঠো মাল্টিভিটামিন ক্যাপসুল নয়, ঘরোয়া পানীয়তেই বাড়তে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা! ভাবছেন কোন পানীয়? দুধ-হলুদেই জব্দ হবে রোগ-বালাই। জেনে নিন রোজের ডায়েটে দুধ-হলুদ রাখলে কী কী উপকার হয় শরীরের?
১) হলুদে কারকিউমিন ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই যৌগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের সব কোষকে নানা রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে, সংক্রমণ হলে তা সারেও সহজে।
২) হলুদ-দুধ শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কমায়। ফলে হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিস এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে নিয়মিত এই পানীয় খেলে।
৩) নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খেলে কারকিউমিনের প্রভাবে শরীরে ‘বিডিএনএফ’ নামে এক রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ে। এই যৌগ অ্যালঝাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৪) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও এই পানীয় বেশ উপকারী।
হলুদ-দুধ শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কমায়। ছবি: সংগৃহীত।
৫) দুধে থাকা ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি, হাড়-পেশির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৬) শীতকালীন আবহাওয়ায় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি লেগেই আছে। গরম দুধে এক চামচ হলুদ গুলে খেলেই হবে সমস্যার সমাধান। তাই টানা কাশির হাত থেকে রেহাই পেতে রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে গরম দুধে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
৭) হলুদ-দুধ ত্বকে বয়েসের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়। হলুদে থাকা বিভিন্ন যৌগ শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এতে ভাল মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।