Meatless Meals

মাংস ছাড়া খাওয়া হয় না? সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিরামিষ খেলে কী কী বদল আসবে জীবনে?

কেবল বাইরের খাবারের কারণেই যে শরীরে নানা রকম ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে, এমনটা কিন্তু নয়। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের কারণেও নানা রকম অসুখের আশঙ্কা বাড়ছে। জেনে নিন, সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খেলে কী কী লাভ হয় শরীরের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪২
Share:

সপ্তাহে এক দিন নিরমিষ খাওয়া কেন জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেরই মাংস ছাড়া এক দিনও চলে না। খাবার পাতে মাংস না পড়লেই মুখ ভার হয়ে যায়। নিরামিষ খাবার মানেই তো সেই শাকসব্জি, ও সব আবার কেউ খায় নাকি, এমন ভাব করে মুখ ব্যাজার করেন। আমাদের শরীরে হাজার রকম রোগ বাসা বাঁধে কেবল মাত্র আমাদের খাদ্যাভাসে অনিয়মের জেরে। কেবল বাইরের খাবারের কারণেই যে শরীরে নানা রকম ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে, এমনটা কিন্তু নয়। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের কারণেও নানা রকম অসুখের আশঙ্কা বাড়ছে। সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু শরীর চাঙ্গা রাখার জন্য ভীষণ দরকার। জেনে নিন, সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খেলে কী কী লাভ হয় শরীরের।

Advertisement

১) প্রাণিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব বেশি মাত্রায় থাকে, অন্য দিকে উদ্ভিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে কম মাত্রায়। খুব বেশি মাত্রায় প্রাণিজ প্রোটিন খেলে কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিরামিষ খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা আমিষ খাবার খান, তাঁদের তুলনায় নিরামিষাশীরা দ্রুত ওজন ঝরাতে সক্ষম। তাই যদি বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত হন, তা হলে সপ্তাহে এক বা দু’দিন নিরামিষ খাওয়া শুরু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি।

Advertisement

৩) দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিচার্স ফান্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে। ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে, প্রাণিজ প্রোটিন ও প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে দূরে থাকতে হবে।

জেনে নিন, সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খেলে কী কী লাভ হয় শরীরের। ছবি: সংগৃহীত।

৪) সারা বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। সপ্তাহে সাত দিনই মাছ, মাংস, ডিম খেলে পেট গোলমাল করতেই পারে। নিরামিষ খেলে বেশি করে শাকসব্জি আর ফল খাওয়া হয়। এতে পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

৫) হাঁপানির সমস্যা থাকলেও সপ্তাহে এক থেকে দু’বার নিরামিষ খেতে পারেন। উদ্ভিজ খাবার শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে, ফুসফুস ভাল রাখতেও বেশ উপকারী এই প্রকার খাদ্যাভাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement