কোন পাতার গুণে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত? রান্নাঘরেই কিন্তু লুকিয়ে ওজন কমানোর সহজ সমাধান! কী ভাবছেন, খাবার কিংবা পানীয়ের কথা বলছি? না, ওজন কমাতে হেঁশেলের কিছু মশলাপাতি এবং পাতার ব্যবহার ভুললেও চলবে না। রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করতে যাদের ব্যবহার, তারাই হতে পারে ওজন কমানোর হাতিয়ার! দক্ষিণ ভারতের খাবার চেখে দেখলেই তাতে কারিপাতার স্বাদ পাবেন। তবে সেই সব রান্না ছাড়া এই পাতার আর তেমন ব্যবহার নেই। ওজন ঝরানোর ডায়েট শুরু করলে রোজ কারিপাতা খেতে পারেন, বেশ উপকার পাবেন।
প্রতি দিন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি কারিপাতা চিবিয়ে খেলেই ওজন কমতে পারে। এই পাতা শরীরের বিপাকহার বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। কারিপাতায় থাকা কার্বাজোল অ্যালকালয়েড নামক যৌগ ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এই যৌগ ওবিসিটির সমস্যার মূল কারণ ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী। তবে কেবল ওজন ঝরাতেই নয়, শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও কারিপাতা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে। জেনে নিন, কোন কোন কারণে রোজ কারিপাতা খাবেন।
১) আমাশা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় কারিপাতা দারুণ কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতেও কারিপাতার জুড়ি মেলা ভার। এই সমস্যাগুলি এড়াতে খালি পেটে নিয়মিত কারিপাতা খান। সারা বছরই হজমে গোলমাল লেগে থাকে? হজমশক্তি উন্নত করতেও সমান ভাবে উপকারী কারিপাতা।
২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের সকালের দিকে বমি ভাব, গা গোলানোর মতো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সময় নিয়মিত কারিপাতা খেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আমাশা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় কারিপাতা দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ডায়াবেটিকদের জন্যও এই পাতা বেশ উপকারী। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে কারিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন, আর না হলে চা বানিয়েও খেতে পারেন।
৪) কারিপাতায় অ্যান্টিসেপটিক গুণও রয়েছে। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে, অ্যালার্জি হলে, বা শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলে নিয়মিত কারিপাতা খান, উপকার পাবেন।
৫) কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মদ্যপানের অভ্যাস লিভারের ক্ষতি করছে। প্রতি দিন ফ্যাটি লিভার ও লিভার সিরোসিসের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। কারিপাতা রোজের খাবারে রাখলে লিভারের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। শুধু লিভারের সমস্যা নয়, রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারিডের মাত্রা কমাতেও এই পাতা উপকারী।