ছিল নিরামিষ, হয়ে গেল আমিষ? ছবি- সংগৃহীত
বাড়িতে আমিষ বা নিরামিষ খাবার, ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়ে খুব সমস্যা। মাছ, মাংস, ডিম আনলে তা দূরে এক কোণে রাখতে হবে। অন্য দিকে, নিরামিষ খাবারের স্থান তুলনামূলক ভাল জায়গায়। আবার অনেক বাড়িতেই আমিষ খাবার রান্না করার জন্য আলাদা রান্নাঘরও থাকে। কেউ কেউ আবার রোজকার চাল, ডাল, তেল, নুন ইত্যাদির সঙ্গে আমিষ খাবারের ছোঁয়া লেগে যাওয়াও অপরাধ বলে মনে করেন। মাছ, মাংস, ডিমের ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলতে পারলেও অনেকেই কিন্তু জানেন না, বহু নিরামিষ খাবারের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে আমিষ জিনিসের ছোঁয়া।
আমিষের ছোঁয়া রয়েছে এমন নিরামিষ খাবার কোনগুলি?
১) চিপস
অনেকেই আজকাল নিরামিষ খিচুড়ি, ডাল-ভাতের সঙ্গে আলু ভাজার পরিবর্তে প্যাকেটজাত চিপস খেয়ে থাকেন। আলু দিয়ে তৈরি চিপস, আপাত ভাবে নিরামিষ মনে হলেও আদতে তা নয়। চিপস তৈরি করতে কোনও কোনও সংস্থা এক ধরনের স্নেহপদার্থ ব্যবহার করে থাকে। যা পাওয়া যায় মূলত প্রাণীর চর্বি থেকে।
২) আইসক্রিম
দেশি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি ইদানীং বিদেশি সংস্থার আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বহু বিদেশি সংস্থাই তাদের পণ্যের গন্ধের মান বাড়িয়ে তুলতে ‘ক্যাস্টোরিয়াম’ নামক একটি সুগন্ধি ব্যবহার করে। অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো দেখতে বিভার নামক প্রাণীর শরীর থেকে পাওয়া যায় এই বিশেষ সুগন্ধিটি।
৩) লজেন্স
বিশেষ কিছু লজেন্সের রং এবং স্বাদের জন্য ‘জিলেটিন’ নামক একটি পদার্থ ব্যবহার করা হয়। লজেন্সে ব্যবহৃত এই বিশেষ পদার্থটি প্রাণীদেহের কোলাজেন দিয়ে তৈরি করা হয়।
৪) ওয়াইন
ওয়াইনের স্বচ্ছতা ধরে রাখতে বেশ কিছু সংস্থা মাছের পটকা ব্যবহার করে থাকে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে সুরাও কিন্তু নিরামিষ নয়।
৫) কৃত্রিম চিনি
ঝুরঝরে, সাদা, মিহি চিনি দেখতে কী ভালই না লাগে। বিভিন্ন পর্যায়ে পরিশোধিত করার ফলে চিনি এমন সুন্দর রূপ পেয়ে থাকে। চিনি পরিশোধন করতে হাড়ের গুঁড়ো ব্যবহার করে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। এই হাড়গুলি সাধারণত গরুর।