Egg

ডিম শরীরের বন্ধু, কিন্তু বেশি খেলে কি শত্রু হয়ে উঠতে পারে? দিনে কতগুলি খেতে পারেন?

ওজন কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— ডিমের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু বেশি খেলে কি কোনও সমস্যা হতে পারে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৩
Share:

 শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। ছবি: সংগৃহীত

সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে— এই দু’টি গুণই যে খাবারগুলিতে রয়েছে সেই তালিকায় অন্যতম ডিম। সকালের খাবারে চটজলদি কিছু বানিয়ে নিতে কিংবা বাচ্চাকে টিফিনে স্বাস্থ্যকর কোনও খাবার দিতে ডিমের কথাই প্রথমে মনে পড়ে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো— ডিমের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

Advertisement

শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। প্রোটিন তো আছেই, সেই সঙ্গে ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা উপকারী উপাদান।

ডিমের জনপ্রিয়তা যেমন আছে, তেমনই ডিমের বদনামও কম নেই। এই বদনাম অবশ্য কুসুমের জন্য। কারণ বেশি কুসুম খেলে আর্থরাইটিস, কোলেস্টেরল হওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে চিকিৎসকদের মতে, ডিমের কুসুমে মাত্র ১০০-৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। সেটুকু শরীরে ভাল কোলেস্টেরল তৈরির কাজে লাগে। আর ডিমের সাদা অংশে কোনও কোলেস্টেরল থাকে না।

Advertisement

ডিমের জনপ্রিয়তা যেমন আছে, তেমনই ডিমের বদনামও কম নেই। ছবি: সংগৃহীত

ডিম খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে দিনে কতগুলি ডিম খাওয়া যায়, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের মতে, সপ্তাহে ৩-৪টির বেশি ডিম খাওয়া ঠিক নয়। ডিমে রয়েছে ‘অ্যাভিডিন’ নামক গ্লাইকোপ্রোটিন, যা শরীরের ভিতরে বায়োটিন শোষণে বাধা দেয়।

ওজন কমিয়ে যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ডায়েট হল ‘বয়েলড এগ ডায়েট’। এই ডায়েট অনেক প্রকারের হয়। যার মধ্যে একটিতে সারা দিন ধরে শুধুই ডিম সিদ্ধ খেয়ে থাকার নিয়ম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এক দিনে ৬টি ডিম। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যাঁরা প্রতি দিন খুব বেশি শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের কখনও একসঙ্গে এতগুলি করে ডিম খাওয়া ঠিক নয়।

সুস্থ মানুষের পক্ষে দিনে একটি ও সপ্তাহে ৪টির বেশি ডিম খাওয়া ঠিক নয়। প্রোটিন ডায়েটে থাকা মানুষের জন্যও দিনে ১টি ও সপ্তাহে ৪টির বেশি ডিম পাতে না রাখলেই ভাল। সে ক্ষেত্রে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে হবে মাছ-মাংস ও উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement