চোখ দেখেই যায় রোগ চেনা। ছবি: শাটারস্টক।
চোখ আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়গুলির মধ্যে একটি। দৃষ্টিশক্তির পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও এই অঙ্গটি বেশ প্রভাব ফেলে। ফলে এই ইন্দ্রিয়টি কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনার সারা শরীরেই দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। ইদানীং সারা ক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে কাজকর্ম করতে করতে চোখের উপরেই চাপ পড়ছে বেশি। ফলে ছোটখাটো অস্বস্তি আমরা এড়িয়েই যাই বেশির ভাগ সময়ে। অথচ চোখ সংক্রান্ত কিছু অসুবিধা জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। জেনে নিন, কেন বছরে অন্তত এক ভার চক্ষু পরীক্ষা করানো জরুরি।
১. দীর্ঘ দিন ধরে কেউ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে চোখের উপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি তো রয়েছেই। তা ছাড়া রেটিনার রক্তনালিগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি প্রায় অনিবার্য। আয়নায় আপনার চোখ দেখার সময় এটি সাধারণ ভাবে চোখে পড়বে না। তাই নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।
২. আপনি যদি আপনার চোখের আশেপাশের সাদা ছোট ছোট ফোলা অংশ দেখতে পান, তবে সেটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার লক্ষণ হতে পারে। এটি বার্ধক্যজনিত কারণে বা নিম্ন-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিনের মাত্রার কারণেও হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।
৩. ইদানীং দিনের বেশির ভাগ সময়ে কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টি। চোখ অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটতেই পারে। আবার ডায়াবেটিস রোগীরাও প্রায়শই এই উপসর্গের মুখোমুখি হন। ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি আবার ছানির লক্ষণও হতে পারে।
৪. ঘুম থেকেই উঠে চোখ লাল হয়ে থাকে? ফোলাভাব কিছুতেই যেতে চায় না? অনিদ্রায় ভুগলে এই সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা কিন্তু চোখে সংক্রমণেরও উপসর্গ হতে পারে।
৫. চোখের বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের অন্যতম লক্ষণ। জন্ডিস হলে লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকে। হলুদ রঙের পিত্ত জমে থাকার ফলে চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে।