এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ব্যায়ামের কাজ করে। ছবি: শাটারস্টক।
কোভিড থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও অনেকের শরীরে থেকে যাচ্ছে নানা রকম উপসর্গ। বেশ কিছু দিন পরে মাথাচড়া উঠছে সে সব লক্ষণ। মস্তিষ্কে ধোঁয়াশা বা ‘ব্রেন ফগ’ সে রকমই একটি সমস্যা।
‘ব্রেন ফগ’ কথাটি আদতে কোনও বৈজ্ঞানিক শব্দবন্ধ নয়। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করার জন্য এই শব্দটি বলে থাকেন। আচমকা ভাবনা-চিন্তা শ্লথ হয়ে যাওয়া, মনোযোগের অভাব, স্মৃতিলোপের মতো নানা ধরনের সমস্যাকে উপসর্গের অন্তর্গত ভাবা হয়।
বড়রা বলেন বাদাম বা ব্রাহ্মি শাক খেলে স্মৃতিশক্তি ভাল হয়। তবে খাবার ছাড়াও আরও বেশ কিছু পন্থা আছে, যা মেনে চললে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে। রইল তার হদিস।
১) মাথা খাটানোর খেলা: এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ব্যায়ামের কাজ করে। শব্দছক, তাসের কিছু খেলা বা দাবার মতো বোর্ড গেমেও মাথার ব্যায়াম ভাল হয়। অথচ আমরা ওই সময়টা টেলিভিশন দেখে বা মোববাইলে ওয়েব সিরিজ দেখে ব্যয় করি। এই ধরনের মাথার ব্যায়ামের মতো খেলা যদি প্রতিদিন কিছুটা সময় খেলা যায়, তা হলে মনের ক্লান্তি কাটতে পারে। ফলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।
২) পর্যাপ্ত ঘুম: স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ঘুম ভীষণ জরুরি। দীর্ঘ ক্ষণ রাত জাগার অভ্যাস শরীরের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে।
রীরের মারাত্মক ক্ষতি করার পাশাপাশি মদ্যপান কিন্তু মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। ছবি: শাটারস্টক
৩) মদ্যপানে লাগাম: শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করার পাশাপাশি মদ্যপান কিন্তু মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। বেশি মাত্রায় মদ্যপান করলে মস্তিষ্কের কোষগুলি ধ্বংশ হয়, স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে।
৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: রেস্তরাঁর ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি মাত্রাতিরিক্ত খেতে থাকেন, তা হলে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও বারোটা বাজবে। কেবল শরীরে মেদ জমে না, এই অভ্যাসের ফলে স্মৃতিশক্তিও ব্যহত হয়।
৫) মনের চাপ কমান: এখন প্রত্যেকের ফোনে সর্বদা নানা নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। মেসেজ বা ই-মেল তো আছেই, তার বাইরে নানা অ্যাপের নানা নোটিফিকেশন। এতে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যান করা যেতে পারে। মানসিক চাপও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী।