দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখুন হেঁশেলের উপাদানেই। ছবি: শাটারস্টক।
সারা দিন তেমন কিছু টের পাননি। রাতে ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জল খাওয়ার পর হঠাৎ দাঁতের ব্যথা শুরু। গরম জলে কুলকুচি করেও ব্যথা কমছে না। এ দিকে বাড়িতেও ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ নেই। দাঁতে ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। কখনও দাঁতের স্নায়ুর মুখগুলি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তখন ঠান্ডা বা গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করতে পারে। সেখান থেকে যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। অনেক সময় আবার দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো ঢুকে সেখান থেকে দাঁতে সংক্রমণ হতে পারে। সেখান থেকেও যন্ত্রণা হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির ফলে দাঁত ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকলেও যন্ত্রণা হতে পারে। এ ছাড়া কোনও রকম সংক্রমণের কারণেও দাঁতে যন্ত্রণা হতে পারে। যন্ত্রণা হল আর চিকিৎসকের কাছে ছুটলেন, এমনটা সব সময় সম্ভব হয় না। চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতেও সময় লাগে। অথচ এমন যন্ত্রণার চোটে ঘুমোনোই মুশকিল হয়ে যায় অনেকের পক্ষে। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে, যা দিয়ে এমন দাঁতের ব্যথা কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়।
১) দাঁতে বা মাড়িতে কোনও সংক্রমণ হলে রাতে খাবার পর উষ্ণ জলে নুন এবং হলুদ মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। অনেক সময়ে দেখা যায় খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো থেকে সেখানে সংক্রমণ হয়। এবং তা থেকেই দাঁতের যন্ত্রণা হয়।
২) এক কোয়া রসুন থেঁতো করে অল্প নুনের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। খুব বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। যন্ত্রণা কমে যাবে।
৩) ওষুধের দোকানে লবঙ্গের তেল কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে যদি তা না থাকে, সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ থেঁতো করে বা শিলে বেটে দাঁতের গোড়ায় দিয়ে রাখতে পারেন। লবঙ্গের প্রাকৃতিক তেল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই তেলের অ্যানাসথেটিক গুণ থাকে, যা দাঁতের যে স্থানে যন্ত্রণা হচ্ছে, সেই স্থানটিকে অবশ করে দিতে পারে। তাই যন্ত্রণা থেকে ক্ষণিকের আরাম পাওয়া যায়।
৪) এক চিমটে হিং বা আধ চা চামচ হিং গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এতে খুব তাড়া়তাড়ি ব্যথা কমে যাবে।
৫) দাঁতে কিংবা মাড়িতে যন্ত্রণা হলে বরফের সেঁক দিলেও উপকার পাওয়া যায়। তুলো কিংবা সুতির কাপড়ে বরফ মুড়িয়ে যন্ত্রণার স্থানে চাপ দিতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বরফের সেঁক দিতে পারলে যন্ত্রণা কমবে।