চা যে ঘুম পাড়ানি ওষুধের মতো কাজ করবে এমন ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। ছবি: সংগৃহীত।
একটা সময়ে রাত জেগে পড়াশোনা করার অভ্যাস ছিল। তখন সঙ্গে এক ফ্লাস্ক চা নিয়ে বসতেন। একটানা পড়ার মাঝে একঘেয়েমি কাটাতে, একটু তরতাজা হয়ে উঠতে চা বা কফিতে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। প্রচলিত ধারণা বলছে, চা খেলে ঘুম চলে যায়। অর্থাৎ, ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করে এই গরম পানীয়। কিন্তু সারা দিন পর বিছানায় শুয়েও যদি দু’চোখের পাতা এক করতে না পারেন, মন শান্ত না হয় তখনও যে এই চা-ই ঘুম পাড়ানি ওষুধের মতো কাজ করবে এমন ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। তবে যে কোনও চা খেলেই যে ঘুম আসবে, এমনটা কিন্তু নয়।
১) ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি
চায়ের মধ্যে ক্যাফিন থাকে। এই ক্যাফিনই কিন্তু স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে, মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম আসে সহজেই।
২) ক্যামোমাইল চা
অনিদ্রাজনিত সমস্যায় প্রাচীন কাল থেকেই ক্যামোমাইল চায়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, প্রদাহ নাশ করতে ক্যামোমাইল চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই ঘুম নেমে আসবে চোখে।
৩) পুদিনা চা
উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কিন্তু ঘুম আসবে না। রাতে ঘুমোনোর আগে মনকে শান্ত রাখতে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা বিশেষ ভাবে কার্যকরী।
৪) ল্যাভেন্ডার চা
ল্যাভেন্ডার ফুলের কুঁড়ি বা নির্যাস দিয়ে তৈরি চা মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে স্নানের জলে দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল আর বিছানায় যাওয়ার আগে ল্যাভেন্ডার চায়ের জোড়া দাওয়াই ঘুম আনতে বাধ্য।
৫) লেমনগ্রাস চা
কাজের চাপ তো আছেই। সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তনে গা, হাত, পায়ের পেশিতে ব্যথা হয়েছে। জ্বর না এলেও গা ম্যাজম্যাজ করছে। এই সময়ে ঘুম আসতে সমস্যা হয় অনেকেরই। বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে হয়। এক কাপ লেমনগ্রাস চায়ে যদি চুমুক দিতে পারেন, সব সমস্যা সঙ্গে সঙ্গে উধাও হবে।