Metabolic Rate

রোগা হতে গেলে বাড়াতে হবে বিপাকহার, তবে জানতে হবে সঠিক উপায়

অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলে। শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বিপাকহার অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কমে যায়। তখন রোগা হতে চাইলেও তা সহজ হয় না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১২:৪২
Share:

ছবি: প্রতীকী।

অনেকেই মনে করেন, কিছু দিন কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করলে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেলেই বোধ হয় তরতরিয়ে মেদ ঝরে যাবে। অনেকেই আবার টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে রোগা হওয়ার জন্য ‘স্লিমিং বেল্ট’ও কিনে ফেলেন। তবে মেদ ঝরানো যে ‘জলবৎ তরলং’ একটা বিষয়, তা কিন্তু নয়। তার জন্য আগে বিপাকহার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

দৈনন্দিন নানা কাজে শক্তির জোগান মেলে খাবার থেকে। খাবারকে ভেঙে শরীর যত তাড়াতাড়ি তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে, ততই শারীরবৃত্তীয় কাজে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সুবিধে হয়। কিন্তু শরীর এই কাজটা কত তাড়াতাড়ি করবে, তা নির্ভর করে শরীরের বিপাকহারের উপর। মেদহীন ছিপছিপে শরীর ও সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার দিকে জোর দিতে হবে।

শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বিপাকহার অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কমে যায়। যেমন, থাইরয়েড বা অন্য কোনও হরমোনের সমস্যা থাকলে ওজন ঝরতে দেরি হয়। তবে বেশ কিছু উপায়ে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা যায়। কিছু নিয়ম মেনে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে বিপাকহার অনেকটাই বাড়িয়ে তোলা যায়।

Advertisement

ছবি: প্রতীকী

১) ডায়েট

বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে ডায়েটে সব ধরনের খাবার রাখুন। প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ শরীরের চাহিদা অনুযায়ী থাকলে বিপাকক্রিয়ার মাত্রাও ঠিক থাকে।

২) পর্যাপ্ত জল

জল কম খেলে শরীরে বিপাকহার কমতে থাকে। ওজন কত, শরীরে জলের চাহিদা কত তা জেনে, সেই অনুপাতে জল খেতে হবে নিয়মিত।

৩) শরীরচর্চা

সপ্তাহে অন্তত পক্ষে ১৮০ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটাহাটির পাশে কিছু ওয়ার্ক আউটও জরুরি। ক্রাঞ্চেস, স্কোয়াটস, প্লাঙ্কেও জোর দিন। এগুলি সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকলে একেবারেই নিজে নিজে চেষ্টা করতে যাবেন না। বরং প্রথম দিকে কোনও ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিন। শরীরের উপর চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

৪) গ্রিন টি

বিপাকহার বাড়ানোর অন্যতম দাওয়াই গ্রিন টি। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে যেমন উপকার করে, তেমনই বিপাকক্রিয়াও বাড়ায়। প্রতি দিন দু’বেলা এক কাপ গ্রিন টি তাই যোগ করুন ডায়েটে।

৫) পর্যাপ্ত ঘুম

রাতে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। রাত জেগে ওটিটি দেখা বা ‘নাইট শিফট’-এ কাজ করার অভ্যাস থাকলে, তা বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলে। হরমোনের মাত্রাতেও হেরফের হয়ে গেলে বিপাকহার উন্নত করা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement