ছবি: প্রতীকী
বয়স আড়াই। উচ্চারণ একেবারেই স্পষ্ট নয়। ‘ইউটিউব’ সম্পর্কে টনটনে জ্ঞান। ফোনের কোন জায়গায় স্পর্শ করলে কী হবে, আধো আধো কথাতেই সব বুঝিয়ে দিতে পারে পরজ। কিন্তু মুশকিল একটাই। সব কাজেই তার ফোন চাই। প্লাস্টিকের আলো জ্বলা খেলনা ফোন নয়। একেবারে আসল মোবাইল ফোন। এই যন্ত্রটি নিয়ে তার ‘বড়দের’ মতো হাবভাব দেখে প্রথম দিকে বাড়ির সকলে মজা করতেন। কিন্তু দিন দিন এই নেশা বাড়তে দেখে প্রমাদ গনছেন পরজের মা-বাবাও। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ছোটদের এই ধরনের গেজেট ব্যবহারের প্রতি আসক্তি প্রায় তিন গুণ বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে। তবে এই অভ্যাসেও ইতি টানা যায়। তার জন্য কী কী করতে হবে জানেন?
১) মোহ ত্যাগ করতে হবে
সন্তানকে বারণ করার আগে অভিভাবক বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সতর্ক হতে হবে। তাদের সামনে দীর্ঘ ক্ষণ ফোন নাড়াচাড়া করলে খুদেরাও ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। দিনে একটা সময় পর অভিভাবকদেরও ফোন ব্যবহারে লাগাম টানতে হবে।
২) সময় নির্ধারণ করে দিন
সন্তান সারা দিনে কত ক্ষণ ফোন, টেলিভিশন বা কম্পিউটারে সময় অতিবাহিত করবে, সেই সময় বেঁধে দিতে হবে অভিভাবককেই। খুদে সেই সময় মেনে চলছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
৩) সব আবদারে প্রশ্রয় দেবেন না
কান্নাকাটি করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলেও সন্তানের সব আবদার না রাখাই ভাল। তাদের অবান্তর চাহিদা বা খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে অনন্ত সময় ফোন ঘেঁটে চলার মতো বিষয়ে আগে থেকে লাগাম টেনে রাখুন।
ছবি: প্রতীকী
৪) তাদের অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন
পড়াশোনা ছাড়াও এমন অনেক সৃজনশীল কাজ রয়েছে, যেগুলি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ঘরের বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করা, সমবয়সিদের সঙ্গে আলাপ করাও কিন্তু এক প্রকার অভ্যাস। যা ছোট থেকে করাতে পারলে ভাল।
৫) বাড়িতে একাধিক গেজেট রাখবেন না
আপনি ফোন নিয়ে কাজে চলে যান। কিন্তু তার পরেও হাতের নাগালে এমন অনেক ডিভাইস থাকে, যা খুব সহজেই খুদেকে আকৃষ্ট করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনও সে ব্যবহার করতে পারে। এই সব বিষয়গুলি থেকে সন্তানকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।