বহু পরিশ্রম করেও যাঁদের পেটের মেদ কমার কোনও লক্ষণ নেই, তাঁদের জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে চর্বি জমলে কিছু দিন জোরদার হাঁটাহাঁটি, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করে কিছুটা মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন অনেকেই। এতে শরীরের সার্বিক ওজন কমলেও পেটের মেদ সব সময় কমে না। পেটের মেদ কমাতে দরকার পড়ে ধৈর্য আর শারীরিক কিছু কসরতের। পরিশ্রম করার পাশাপাশি সারা দিনে কাজের ফাঁকেও কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। তবেই কমবে পেটের মেদ। বহু পরিশ্রম করেও যাঁদের পেটের মেদ কমার কোনও লক্ষণ নেই, তাঁদের জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়।
১) স্বাস্থ্যকর খাবার খান: পেটের বাড়তি মেদ কমানোর প্রধান ধাপ হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না গেলে ওজন বাড়বে বই কমবে না। তাই ইচ্ছে করলেই বাইরের ভাজাভুজির বদলে ফল, ওটস, বাদাম, ডিম, সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খান। ওটস এবং অন্যান্য উচ্চ ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়াদাওয়ায় বদল আনলে পেটের মেদ ঝরাতে আলাদা করে আর পরিশ্রম করার দরকার হবে না।
পেটের মেদ কমানোর আরও একটি সহজ উপায় হল শরীরচর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। ছবি: সংগৃহীত
২) নিয়মিত ব্যায়াম করুন: পেটের মেদ কমানোর আরও একটি সহজ উপায় হল শরীরচর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। অল্প সময় ধরে করুন। কিন্তু তা যেন নিয়মিত হয়। একটি নির্দির্ষ্ট ফিটনেস রুটিন তৈরি করুন। পরিশ্রমসাধ্য কোনও ব্যায়াম করতে হবে এমন নয়। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, পালাটেস— এর মতো কিছু শারীরিক পরিশ্রম রোজের ফিটনেস রুটিনে রাখুন।
৩) একসঙ্গে বেশি খাবার নয়: পেটের মেদ কমাতে কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কতটা খাচ্ছেন সেটা আরও বেশি জরুরি। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও একসঙ্গে বেশি খাবার খাবেন না। হজমশক্তি উন্নত করতে ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প খাবার খান। ক্যালোরি আছে এমন খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪) প্রচুর জল খান: পেটের মেদ কমাতে সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার বিকল্প নেই। জল শরীরের যাবতীয় দূষিত পর্দার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে বারে বারে খিদে পাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস পায়। প্রতি দিন কমপক্ষে ৬-৮ গ্লাস জল খান। তবে অ্যালকোহল, চিনিযুক্ত কোনও পানীয় এড়িয়ে চলুন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫) মানসিক চাপ কমান: শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং বাড়তি মেদ জমার অন্যতম কারণ কিন্তু মানসিক চাপ। অবসাদে বাড়ে ওজন। তাই মানসিক চাপ কমাতে ও মন শান্ত রাখতে নিয়মিত ধ্যান, প্রাণায়াম করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, মন খুলে কথা বলুন।