রাগির আটা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন লাড্ডু। ছবি: সংগৃহীত
মালপোয়া, লাড্ডু বা প্যানকেক— সবই খাবেন অথচ ওজন বাড়বে না। এমন ইচ্ছা তো সকলের মনেই থাকে। কিন্তু তা সম্ভব কী করে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ময়দার বদলে যদি মিলেট বা রাগি ব্যবহার করা হয়, তা হলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আয়রন, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন-সহ বেশ কিছু খনিজ রয়েছে, যা শুধু ওজন নয় রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রাগিতে ফাইবারের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। এই ফাইবার অন্ত্রের জন্য ভাল। এ ছাড়াও, রাগিতে ‘আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’ নেই বললেই চলে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না রাগি খেলে। তাই প্রতি দিনের সাধারণ খাবারের মধ্যে রাগি যোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও আর কী কী উপকার করে রাগি?
হার্ট ভাল রাখে
রাগিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, রাগিতে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে
নিয়মিত রাগি খেলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। রাগিতে থাকা ফাইবার বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।
হজমে সহায়ক
রাগিতে থাকা ফাইবার অত্যন্ত সহজপাচ্য তাই হজমের সমস্যা থাকলেও রাগি খাওয়া যায়। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতেও সাহায্য করে রাগি।
রাগির আটা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন বিস্কুট, কুকিজ়। ছবি: সংগৃহীত
হাড়ের জন্যও ভাল
সাধারণত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারকেই ক্যালশিয়ামের প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাগিতেও যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকে। তাই দুধ সহ্য হয় না যাঁদের, তাঁরা রাগি দিয়ে তৈরি খাবার খেতেই পারেন।
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
রাগিতে থাকা ফাইবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। তাই বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভাত বা আটার রুটির ভাল বিকল্প হতে পারে এই রাগি।