ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডায় গা গরম রাখতে উষ্ণ দুধের সঙ্গে খেজুর খাওয়ার চল বহু পুরনো। শরীরের তাগদ বৃদ্ধি করতেও প্রাচীন কালের এই টোটকা বেশ কাজের। দুধ তো প্রোটিনে ভরপুর আর খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। এই দু’টি উপাদান একসঙ্গে মিশে তৈরি হয় দারুণ এক শক্তিবর্ধক পানীয়। ফলে শরীরচর্চা করার পরে খুব ক্লান্ত লাগলেও এই পানীয়ে চুমুক দেওয়া যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাতে শোয়ার আগে এই পানীয় খেলে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।
উষ্ণ দুধে খেজুর মিশিয়ে খেলে কোন কোন রোগ বশে থাকে?
১) খেজুরে সহজপাচ্য ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত উষ্ণ দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে কোষ্ঠ সাফ হয়, অন্ত্র ভাল থাকে।
২) এই টোটকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। শিশু, বয়স্ক বা মহিলাদের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে উষ্ণ দুধে খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৩) দুধ এবং খেজুর— দুইয়ের মধ্যেই ক্যালশিয়াম রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই খনিজটি বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এ ছাড়াও খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। যা ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে। নিয়ম করে খেলে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ বশে থাকে।
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে দুধ, খেজুরের মিশ্রণ। আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬। এই সমস্ত উপাদান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণজনিত সর্দিকাশি ঠেকিয়ে রাখতে পারে এই পানীয়।
৫) অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে দুধ-খেজুরের মিশ্রণ। দুধে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক উপাদান, যা ঘুমের সঙ্গে জড়িত হরমোনের সমতা বজায় রাখে। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা স্নায়ুর উত্তেজনা বজায় রাখতে পারে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পথ্য হতে পারে এই পানীয়।