ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় ফোড়ন হিসাবে তেজপাতার ব্যবহার নতুন নয়। অ্যারোমাথেরাপি বা সুগন্ধচর্চাতেও এই পাতা ব্যবহারের চল রয়েছে। ঘরের দূষিত বায়ু প্রাকৃতিক উপায়ে পরিশোধন করতে এই পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়। অনেক বাড়িতেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এখানেই শেষ নয়। তেজপাতার আরও অনেক গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতেও তেজপাতার ভূমিকা রয়েছে। অম্বলের ধাত রয়েছে বলে সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন না অনেকে। বদলে যদি তেজপাতা ভেজানো জল খাওয়া যায়, তাতেও উপকার কিছু কম হয় না।
১) ‘সিনেয়োল’ এবং ‘ইউজেনল’ নামক দুটি উপাদান রয়েছে তেজপাতায়। হজমের সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই দুই উপাদান। পাশাপাশি বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে এই পাতা।
২) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তেজপাতা। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরোক্ষ ভাবে তেজপাতার ভূমিকা রয়েছে।
৩) রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতা। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সকালে তেজপাতা ভেজানো জল খেতেই পারেন।
৪) তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই উপাদান শারীরবৃত্তীয় নানা কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। আবার, তেজপাতার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বক এবং চুলের নানা সমস্যার সমাধান করে।
৫) ফাইবারের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হল তেজপাতা। জলের সঙ্গে মিশলে তা আরও সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে বিপাকহার উন্নত করা— ফাইবারের প্রয়োজন রয়েছে সর্বত্র।