মনোসংযোগ বৃদ্ধি করার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মন ভাল থাকে। যার প্রভাব পড়ে শরীরে। সবই জানেন, কিন্তু সারা দিন ঘরে-বাইরে নানা রকমের চাপ সামলে দু’দণ্ড চুপ করে বসার সময় পান না। অফিসে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট হলেও বেরোনোর সময়ের কোনও ঠিক থাকে না। সকালে অফিসে ঢুকে সেই যে ল্যাপটপ খুলে কাজ শুরু হয়, চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর পর দেখা যায় কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে তত ক্ষণে।
বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে বিছানায় পিঠ ঠেকালেও দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না অনেকে। কারণ, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ধ্যান বা মেডিটেশন কিন্তু এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে সাহায্য করে। সারা দিনে সময় না পেলেও কাজের ফাঁকে কিন্তু ধ্যান করা যায়। তার জন্য কিন্তু সব সময় পা মুড়ে, চোখ বুজে পদ্মাসনে বসার প্রয়োজন নেই। তা হলে কী ভাবে ধ্যান করবেন?
১) প্রথমে যে পরিবেশে রয়েছেন, তার আশপাশের আওয়াজ সম্বন্ধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অফিসে সারা ক্ষণই কোনও এসি বা ফ্যান চলা, টাইপিং বা কথা বলার গুনগুন শব্দ হতে থাকে। সেই শব্দগুলি আলাদা আলাদা করে অনুধাবন করতে পারলেও একাগ্রতা বাড়ে। এই পদ্ধতি অভ্যাস করার জন্য ৬০ সেকেন্ড বা এক মিনিটই যথেষ্ট। ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
২) ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। নাক দিয়ে শ্বাসগ্রহণ করে তা ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছনো এবং পুনরায় তা নাক দিয়ে ত্যাগ করার যে বৃত্ত সে বিষয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ঘড়ি ধরে ৬০ সেকেন্ড মন দিয়ে এই বৃত্ত সম্পন্ন করতে পারলে মন শান্ত হবে। অভ্যাস হয়ে গেলে মিনিট দুয়েক পর্যন্ত করা যেতে পারে।
৩) মানসিক চাপ বা উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে স্ট্রেচিং। কাজের মাঝে মিনিট দুয়েকের বিরতি নিয়ে হাত-পা ছাড়িয়ে টান টান করে নিলেও আরাম হবে। শৌচাগারে বা অফিসের বারান্দায় চুপ করে বসে না থেকে মিনিট দুয়েট মন দিয়ে স্ট্রেচিং করতে পারেন।