বাড়িতে তৈরি চাটনিতেই সারাবে রোগবালাই। ছবি: সংগৃহীত।
এই বৃষ্টি, তো এই রোদ— পুজোর আগে মরসুম বদলের সময়ে সর্দিকাশি, জ্বরের সমস্যা ঘরে ঘরে। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই এমন হয়। আবার কেনাকাটা করতে গিয়ে বাইরের তেলমশলা দেওয়া ভাজাভুজি খাওয়ার পর পেটের গোলমাল তো আছেই। ঘন ঘন এমন জ্বর, পেটখারাপ হলে ওষুধ না খেয়ে, ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করেন অনেকেই। বাঙালি বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের পর শেষ পাতে চাটনি খাওয়ার চল তো বহু পুরনো। এই পদটিই হয়ে উঠতে পারে রোগ ঠেকিয়ে রাখার অস্ত্র। কোন চাটনি কী ধরনের রোগ বশে রাখে জেনে নিন।
পুদিনার চাটনি
কাটলেট, পকোড়ার সঙ্গে পুদিনার চাটনি পুরো জমে যায়। কিন্তু এই চাটনি সর্দিকাশি কমাতেও সিদ্ধহস্ত। পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকায়, রোগের সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয়। কয়েকটি পুদিনা পাতা, ২-৩টি কাঁচালঙ্কা, তেঁতুলের ক্বাথ একসঙ্গে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি পুদিনার চাটনি।
আমলকির চাটনি
সর্দি-জ্বর থেকে মুক্তি পেতে হাতিয়ার হতে পারে আমলকি। ভিটামিন সি থাকায় আমলকি ঠান্ডা লাগার ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এই চাটনি বানানো সহজ। মিক্সিতে আমলকি কুচি, আদা কুচি, লবঙ্গ, নুন আর পরিমাণ মতো চিনি ঘুরিয়ে নিলেই আমলকির চাটনি তৈরি।
ধনেপাতার চাটনি
ধনেপাতার চাটনিও কম সুস্বাদু নয়। ঠান্ডা লাগা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ই। এই ভিটামিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ধনেপাতা, তেঁতুলের ক্বাথ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো আর চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি ধনেপাতার চাটনি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, সি, এবং কে-তে ভরপুর ধনেপাতার চাটনি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই খাবার ভাল।
নারকেলের চাটনি
দক্ষিণী খাবারের সঙ্গে নারকেলের চাটনি থাকবেই। নারকেলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা হার্টের জন্য ভাল। নারকেলে ফাইবারও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। যা হজমশক্তি মজবুত করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মিক্সিতে কোরানো নারকেল, কাঁচালঙ্কা, অল্প আদা, কয়েক দানা ছোলার ডাল, নুন ভাল করে বেটে নিন চাইলে গোটা সর্ষে এবং কারিপাতার ফোড়ন দিতে পারেন।
চিনেবাদামের চাটনি
মিক্সিতে একমুঠো চিনেবাদাম, কয়েক কোয়া রসুন, কাঁচালঙ্কা, তেঁতুলের ক্বাথ, নুন এবং সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ইডলি, দোসা তো বটেই ভাজাভুজির সঙ্গেও এই চাটনি খেতেও মন্দ লাগবে না। চিনেবাদামের ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই খনিজটির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে শক্তির জোগান দিতেও সাহায্য করে এই চাটনিটি।