হেঁচকি থামাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীর সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছেন। নিজেদের মতো একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। কথার ফাঁকে টুকটাক খাবার মুখে পুরছেন। সঙ্গীও তাঁর মনের কথা ব্যক্ত করছেন। ঠিক এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে উঠল হেঁচকি। থামার কোনও নামগন্ধ নেই। হেঁচকির কারণে চোখমুখ লাল। জল খেয়েও কোনও সুবিধা করতে পারছেন না। যাঁর হেঁচকি উঠছে তিনি তো বটেই, পাশাপাশি সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও নাজেহাল হয়ে পড়েন। অনেকের হেঁচকি না থামলে আবার চোখমুখ লালও হয়ে যায়। বাড়িতে হলে এক রকম। কিন্তু রাস্তাঘাটে কিংবা বাইরের লোকজনের সামনে এমন হলে, একটা বাড়তি অস্বস্তি থেকেই যায়। তবে হেঁচকি উঠলেও তা কমানোর কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে সুবিধা হবে।
আদা
জল খেয়েও অনেক সময় হেঁচকি থামতে চায় না। হয়েই যায়। সে ক্ষেত্রে জলের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন আদা। এই আনাজ নিমেষেই হেঁচকি কমিয়ে দেবে। তবে শুধু আদা খেলে হবে না। লেবুর রসের সঙ্গে আদার কুচি দিয়ে খেতে পারেন। হেঁচকি কমবে নিমেষেই।
লেবু
হেঁচকি উঠলে তা থামাতে আরও একটি কাজ করতে পারেন। তবে তার জন্য বাড়িতে লেবু থাকা দরকার। এক টুকরো পাতিলেবু কেটে জিভের উপর রেখে দিন কিছু ক্ষণ। তার পর লজেন্সের মতো চুষতে থাকুন। এতে হেঁচকি কমবে তাড়াতা়ড়ি।
আচমকা হেঁচকি উঠলে অল্প মাখন নিয়ে জিভের উপর দিন। ছবি: সংগৃহীত।
মাখন
আচমকা হেঁচকি উঠলে অল্প মাখন নিয়ে জিভের উপর দিন। দেখবেন কয়েক মিনিটে হেঁচকি থেমে গিয়েছে। বাড়িতে মাখন না থাকলেও চিনি খেতে পারেন। একই রকম উপকার পাবেন।
শ্বাস নিন
হেঁচকি থামাতে লম্বা শ্বাস নিন। হঠাৎ হেঁচকি উঠলে প্রথমে শুয়ে পড়ুন। তার পর দুটো হাঁটু বুকের কাছে এনে কিছু ক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। কয়েক মুহূর্ত এই ভাবে থাকলে মিলতে পারে উপকার।