অত্যধিক ব্যস্ততা ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
অত্যধিক ব্যস্ততা ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরের প্রতি সঠিক যত্ন এবং নিয়ম মেনে চলায়। কিন্তু সারা ক্ষণই কাজের মধ্যে থাকলে শিকেয় ওঠে নিয়ম। অনিয়ম এবং শরীরের প্রতি চরম অযত্নেই কেটে যায় মাসের পর মাস। তাতেই বাড়তে থাকে ওজন। এক বার ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় তার জন্য। তা সত্ত্বেও অনেক সময় কমানো যায় না ওজন। তবে ৩টি বিষয়ে যদি জোর দেওয়া যায়, তা হলে ওজন কমানো খুব কঠিন নয়।
শরীরচর্চা
কাজ আর ব্যস্ততা নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে এত কিছুর মধ্যেও শরীরচর্চা করতেই হবে। অন্তত ওজন কমানোর জন্য এটুকু করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরচর্চা হল রোগা হওয়ার অন্যতম উপায়। তা না করলে সব চেষ্টাই বিফলে যাবে। যত ব্যস্ততাই থাক, শরীরচর্চা করতেই হবে। ৩০ মিনিটের জন্য হলেও সময় বার করে শরীরচর্চা করতে হবে।
মন দিয়ে খাবার খাওয়া
খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা একেবারেই সঠিক নয়। খাওয়ার সময় অন্য কোনও কাজ করলে কিংবা কথা বললে খাবারের দিক থেকে মনোযোগ চলে যায়। অন্যমনস্ক হয়ে অনেক সময় বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে তো থাকেই না, উল্টে বাড়তে থাকে। তা ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেওয়ার কারণে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও হয়। খাওয়ার সময় যদি সমস্ত মনোযোগ খাবারেই দেওয়া হয়, তা হলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৩০ মিনিটের জন্য হলেও সময় বার করে শরীরচর্চা করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যালোরি বাদ দেওয়া
ক্যালোরি যে শুধু ওজন বৃদ্ধি করে তা নয়, আরও অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। তাই ফিট থাকতে ক্যালোরি গ্রহণ বন্ধ করতে হবে প্রথমেই। যে খাবারগুলিতে ক্যালোরি আছে, সেগুলি যত সম্ভব কম খাওয়াই শ্রেয়। ক্যালোরি শরীরে যত বেশি পরিমাণে জমা হতে শুরু করবে, ওজনও বাড়তে থাকবে সেই অনুপাতে। ব্যস্ততম জীবনেও রোগা হওয়ার আরও একটি উপায় হল ক্যালোরি গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন থাকা।