থাইরয়েড বেশি না কম? ছবি: সংগৃহীত।
বরাবরই ঘুম প্রিয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব কালেই ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়। তবে ইদানীং ঘুম থেকে উঠতে যেন একটু বেশিই কষ্ট হচ্ছে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। সাধারণ ভাবে এই লক্ষণগুলি দেখলে চিকিৎসকেরা রক্তে থাইরয়েডের মাত্রা পরীক্ষা করাতে বলেন। বয়সের সঙ্গে থাইরয়েডের যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা জানেন। গোটা পৃথিবীর ১৫ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। যে কোনও বয়সেই হানা দিতে পারে থাইরয়েড। কিন্তু থাইরয়েড তো অনেকটা নিঃশব্দ ঘাতকের মতো। এই গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা কিংবা গ্রন্থি থেকে একেবারেই হরমোন ক্ষরণ না হওয়া— দু’টিই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওষুধের পাশাপাশি কয়েকটি পানীয় এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
১) শসার রস
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা— সবই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে শসা। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মিত শসা খেলে তা থাইরয়েডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
২) দুধ এবং হলুদ
দুধে এক চিমটে হলুদগুঁড়ো দিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে বহু জায়গায়। ঠান্ডা লাগলে এই পানীয় দারুণ কাজ করে। আয়ুর্বেদ বলছে, হলুদে থাকা কারকিউমিন এবং দুধের প্রোটিন একত্রিত হয়ে স্বাভাবিক ভাবে থাইরয়েড ক্ষরণে সাহায্য করে।
৩) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। একই ভাবে রক্তে থাইরয়েডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাসে ধীরে ধীরে থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
দুধ এবং হলুদ স্বাভাবিক ভাবে থাইরয়েড ক্ষরণে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) উষ্ণ জলে লেবুর রস
বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে এবং মেদ ঝরাতে নিয়মিত উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু দিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকেই। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করা এবং শরীরকে আর্দ্র রাখা এই দুই-ই থাইরয়েডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫) সেলেরি পাতার রস
ভিটামিন এ, কে, সি এবং ফোলেট, পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে সেলেরি পাতায়। তা ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই সেলেরি প্রদাহ এবং রক্তে থাইরয়েডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।