৩০-এর পরে সুস্থ থাকার উপায়। ছবি:সংগৃহীত।
বয়সের চাকা যত সামনের দিকে গড়াতে থাকে, ফিটনেসও কমতে থাকে তত। তাই আগে থেকেই রাশ টেনে রাখা জরুরি। বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলেই শরীরের প্রতি যত্নে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। তিরিশের পর থেকে শরীরের অন্দরে নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে। তাই কিছু নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা বাড়তে থাকে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করা
বয়স ৩০ পেরিয়েছে মানেই কেরিয়ার তখন মধ্যগগনে। ফলে ব্যস্ততা, কাজের চাপ সব কিছুই বেশি। নিজের জন্য সময় থাকে না বললেই চলে। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বাঁচিয়ে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। নয়তো দীর্ঘ দিন ধরে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ফিট থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিয়ম করে যদি কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের মতো কিছু শারীরিক কসরত করতে পারেন, সত্যিই ভাল থাকবেন।
সুষম ডায়েট
ঘরোয়া খাবারের কোনও বিকল্প হতে পারে না। তাই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতি দিন প্রোটিন, নানা রকম শস্য, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খান। সেই সঙ্গে রাশ টানতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, নরম পানীয়ের মতো খাবার খাওয়ায়।
পর্যাপ্ত ঘুম
সারা দিন তো বটেই, রাতেও কাজ নিয়ে বসেন অনেকে। ফলে ঘুম শিকেয় ওঠে। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। ভিতর থেকে দুর্বল লাগে। ঘুমের ঘাটতি আরও নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমোনো জরুরি।
নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা
অসুস্থ না হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না অনেকেই। কিন্তু মাঝেমাঝেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়ে শরীরের অন্দরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। কিন্তু বাইরে থেকে তা বোঝা যায় না। ভিতর থেকে সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
মদ্যপান কম করা
ধূমপান, মদ্যপানের প্রবণতা শরীরের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। প্রতিনিয়ত এই অভ্যাস শরীরের অন্দরে নানা সমস্যার জন্ম দেয়। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপান আর মদ্যপানে করা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।