ডায়াবেটিক রোগীরা কোন ফল খেতে পারেন? ছবি: শাটারস্টক।
মরসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতেই হোক কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শরীরে জলের ঘাটতি মেটানোর জন্যই হোক কিংবা পেটের সমস্যা রুখতে— বিভিন্ন কারণে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে ফল রাখার পরামর্শ দেন। তবে অনেকেই মনে করেন, ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোনও ফল খাওয়াই বিপজ্জনক। তা হলে উপায়? এ কথা সত্যি যে, কিছু কিছু ফল রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন, আম, লিচু, কলার মতো ফল যা জিআই ইন্ডেক্সের উপর দিকের তালিকায় পড়ে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই ফলগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। কিন্তু তাই বলে সব ফলই ক্ষতিকর, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশনের মত অনুযায়ী, প্রচুর ফলে এমন কিছু উপকারী ভিটামিন এবং ফাইবার রয়েছে যা টাইপ টু ডায়াবিটিস দূরে রাখতে সাহায্য করে। জেনে নিন, ডায়াবিটিস থাকলে কোন ফলগুলি নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
১) আপেল: বাজারে সারা বছরই আপেল পাওয়া যায়। লাল আপেল ছাড়া সবুজ আপেলও রয়েছে। আপেলের গুণাগুণ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। এতেও প্রচুর ফাইবার রয়েছে। একটি আপেল খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তিও থাকে। ফাইবারের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে ভিটামিন সি-ও রয়েছে এই ফলে। ডায়াবেটিকরা খোসাসমেত আপেল খেতেই পারেন।
২) পিচ: ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য পিচ ফল বেশ উপকারী। পিচে ভাল মাত্রায় ফাইবার রয়েছে এবং তা শরীরের বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফলে ভাল পরিমাণে ভিটামিন সি-ও থাকে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এই ফল ডায়াবিটিসের রোগীরা খেতেই পারেন।
৩) জাম বা অন্য বেরি: কলকাতায় সব ধরনের বেরি সহজে পাওয়া যায় না। তবে ডায়াবেটিকদের জন্য জাম সবচেয়ে বেশি কার্যকর। জামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা শরীরের পক্ষে ভাল। এ ছাড়া স্ট্রবেরিও খেতে পারেন। চেরি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ব্লু বেরি ড্রাই ফ্রুট হিসেবেই খেতে পারেন। তবে দেখে নিতে হবে, তাতে বাড়তি চিনি মেশানো রয়েছে কি না।
আম, লিচু, কলার মতো ফল যা জিআই ইন্ডেক্সের উপর দিকের তালিকায় পড়ে, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই ফলগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নাসপাতি: নাসপাতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যে কারণে তা ডায়াবেটিক ডায়েটে অবশ্যই রাখা উচিত। ফ্রুট স্যালাড বানালেও অবশ্যই তাতে নাসপাতি রাখবেন।
৫) কিউয়ি: এতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। ডায়াবেটিক রোগীরা এই ফল খেতেই পারেন। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা রোজের খাবারে এই ফল রাখতেই পারেন।