ডয়াবিটিস থেকে কোলেস্টেরল, কমবে চায়ের গুণে।
মেদ ঝরানোর নানা ধরনের উপায় খোঁজার চেষ্টা করেন অনেকে। নেটমাধ্যম খুললেই ওজন ঝরানোর নানা মন্ত্র চোখে পড়ে। কেউ বলেন দীর্ঘ ক্ষণ উপোস করলেই মেদ ঝরবে। কেউ বলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম করলেই ফল পাবেন দ্রুত। তবে ওজন ঝরানোর জন্য এত কসরত না করতে চাইলেও উপায় আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, আদা কিন্তু ওজন ঝরাতে দারুণ উপকারী। রোজ সকালে আদা দেওয়া চা পান করলে মেদ ঝরবে দ্রুত।
কী ভাবে বানাবেন আদা চা?
জলের মধ্যে আদার রস, লেবুর রস, মধু ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই পানীয় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই পানীয় জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি ৩ ও ৬, প্রোটিন ও ডায়াটেরি ফাইবারে পরিপূর্ণ।
এই পানীয় আর কী কী উপকারে আসে?
১) বদহজমের সমস্যা থাকলে এই পানীয় নিয়মিত খেতে পারেন। এই পানীয় হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হজম ভাল হলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
২) ঋতুস্রাব চলাকালীন যাঁদের প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তাঁরাও রোজের ডায়েটে এই পানীয় রাখতে পারেন। এই পানীয়ের বেদনানাশক ক্ষমতা রয়েছে। ঋতুস্রাব চলাকালীন এই পানীয় খেলে আপনি আরাম পাবেন। চাঙ্গা থাকবে আপনার শরীর।
বদহজমের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা। ছবি: শাটাারস্টক।
৩) রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে চা। রক্তের খারাপ ফ্যাট এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে আদার রস। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই পানীয় তাই ভীষণ উপকারী।
৪) এই পানীয় সকাল বেলা খেলে আপনি সারা দিন চাঙ্গা থাকবেন। সারা দিনের পরিশ্রম, ক্লান্তি দূর হয় এই পানীয়ের জাদুতেই। এই পানীয় আপনার প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতেও দারুণ উপকারী।
৫) আদা চায়ের আরও একটি গুণ হল, হার্টের যত্ন নেয় এই পানীয়। আদার রসে উপস্থিত থাকে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তার সঙ্গে মেশে চায়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সব মিলে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে আদা দেওয়া চা।