খাওয়ার পর কী করলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনও বিকল্প নেই— এ কথা কিন্তু বার বার মনে করিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। ‘মর্নিং ওয়াক’ করার সময় পান না অনেকেই। দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক রোগ দূর হয়। শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চার সময় না পেলে খাওয়াদাওয়ার পর অন্তত আধ ঘণ্টা সময় হাঁটাহাঁটির জন্য বরাদ্দ রাখুন। জেনে নিন এই অভ্যাস কেন এত স্বাস্থ্যকর।
১) চিকিৎসকদের মতে, নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি করলে আপনার হৃদ্রোগ তো ভাল থাকবেই, সেই সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রগত অসুস্থতাও প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। খাওয়াদাওয়া সেরে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়ে রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রোজ হাঁটাহাঁটি করলে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব।
২) খাওয়াদাওয়ার পর সোজা বিছানায় শুতে যাওয়ার অভ্যাস হজমে গোলমাল হওয়ার অন্যতম কারণ। হজমের গোলমাল হলেই বিপাক হারেও তার প্রভাব পড়ে। ফলস্বরূপ ওবিসিটি হানা দেয় শরীরে। এই সমস্যা দূর করতে খাওয়ার পর হাঁটাহাটি জরুরি। তবে শুধু হাঁটলেই হবে না, রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে দ্রুত পায়ে একই গতিতে হাঁটলে তবেই ওজন ঝরবে। ব্রিস্ক ওয়াকিং ওবেসিটির হার কমাতে পারে।
৩) আপনি যত হাঁটবেন, আপনার রক্তচাপও ততটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অর্থাৎ উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যার কারণে যাঁরা রোজ ওষুধ খেতে বাধ্য হন, তাঁরা এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারেন হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে।
খাওয়ার পর হাঁটাহাটি জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ডায়াবিটিসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে হাজারটা অসুখ। আপনার রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রেহাই পাবেন অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে। চিকিৎসকদের মতে, খাওয়াদাওয়ার পর রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, তাই খাওয়াদাওয়া সেরে হাঁটাহাঁটি করা ভীষণ জরুরি। টাইপ টু ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার পর ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভাল।
৫) হাঁটাহাঁটি করলে স্মৃতিশক্তিও ভাল থাকে। রোজকার ব্রিস্ক ওয়াকিং মস্তিষ্কের সঙ্কোচন কমিয়ে দেয়। ফলে প্রৌ়ঢ় ও বৃদ্ধ বয়সে নিত্যকার হাঁটাহাঁটি পুরনো দিনের ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয় সহজে। হাঁটাহাঁটির ফলে ডিমেনশিয়াও আসে দেরিতে। স্ট্রেস কমাতে, মন ভাল রাখতেও হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।