ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধ হতে পারে ড্রাইফ্রুটস। ছবি: সংগৃহীত।
একটা বয়সের পর যে রোগগুলি শরীরে জাঁকিয়ে বসে, ইউরিক অ্যাসিড তার মধ্যে অন্যতম। মূত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি। কার শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসি়ড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণের উপর। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে এর হাত ধরে আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। সুস্থ থাকতে তাই রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়ায়। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে অনেক খাবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কিন্তু কিছু খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। ড্রাই ফ্রুটস তার মধ্যে অন্যতম।
আখরোট
ইউরিক অ্যাসি়ড থাকলে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ আখরোট অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে আখরোটে জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া, পেশি কিংবা গাঁটে ব্যথার ক্ষেত্রে প্রোটিনে ভরপুর আখরোট অত্যন্ত উপকারী।
কাঠবাদাম
ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানে ঠাসা কাঠাবাদাম ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য উপকারী। কাঠবাদামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও, যা ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা-বেদনা ঠেকাতে সক্ষম।
ইউরিক অ্যাসি়ড থাকলে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ আখরোট অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
তিসির বীজ
তিসির বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই ফ্যাট ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বিপদসীমার মাত্রা ছাড়াতে দেয় না। তা ছাড়া, এই বীজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণার উপশম ঘটায়।
কাজু
ইউরিক অ্যাসিড থাকলে অনেকেই কাজুবাদাম খেতে চান না। তবে কাজুবাদামেক সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের কোনও বিরোধ নেই। কাজুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো উপকারী পুষ্টিগুণ। ইউরিক অ্যাসিডের বিরুদ্ধে লড়তে ভরসা রাখা যায় এই বাদামে।