কিশমিশ আর মনাক্কা এক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রজাতি এক হলেও কিশমিশ আর মনাক্কা ভিন্ন!
শুধু কি নামে আলাদা? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কিশমিশ আর মনাক্কার পুষ্টিগুণও এক নয়। তাই ফ্রিজে মনাক্কা থাকলেও কিশমিশের বদলে পায়েসে তা দেওয়া যায় না। কিন্তু ডিটক্স পানীয় হিসাবে আবার মনাক্কা ভেজানো জল ভাল। কিনতে গেলে বুঝবেন, দামের দিক থেকেও বিস্তর ফারাক রয়েছে কিশমিশ আর মনাক্কায়। এই দু’টি জিনিস কি সত্যিই আলাদা?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সোনালি হলুদ রঙের কিশমিশ আর মিশকালো রঙের মনাক্কা— দু’টিই কিশমিশ, দু’টিই আঙুর থেকে তৈরি। তবে প্রজাতি আলাদা। কিশমিশে সাধারণত বীজ থাকে না। কিন্তু মনাক্কায় বীজ থাকে। কিশমিশ মিষ্টি হলেও মনাক্কা খেতে টক-মিষ্টি।
কিশমিশ খেলে কী উপকার হবে?
১) কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
২) কিশমিশে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন রয়েছে, তেমন ফাইবারও আছে যথেষ্ট পরিমাণে। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে শক্তির জোগান দিতে পারে এই খাবার।
৩) পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে পারে কিশমিশ। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মনাক্কা খেলে কী উপকার হবে?
১) মনাক্কা আবার শিশু, মহিলাদের জন্য বিশেষ ভাবে জরুরি। কারণ, এতে আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। রক্তাল্পতা, দুর্বলতা কিংবা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এই খাবারটি।
২) কিশমিশের তুলনায় মনাক্কায় ফাইবারের পরিমাণও বেশি। যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
৩) হার্টের জন্যও ভাল মনাক্কা। কিশমিশের মতোই পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মনাক্কা। তবে এই সব উপাদানের পরিমাণ মনাক্কায় অনেকটাই বেশি।