মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
আজ খাচ্ছি, কাল খাব!
এই করে অনেক জিনিসই ফ্রিজে পড়ে থাকে। নানা ব্যস্ততায় সেগুলি বার করে খেতেও ভুলে যান। যে দিন মনে পড়ে সে দিন ফ্রিজ থেকে বার করতে গিয়ে দেখেন, মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে।
ওষুধ কেনার আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ দেখার অভ্যাস তৈরি হলেও, খাবারের বিষয়ে মানুষ এখনও এতটা সচেতন হয়নি। আবার, একাংশের মধ্যে সচেতনতা থাকলেও দাম দিয়ে কেনা খাবার তাঁরা ফেলতে চান না। সুতরাং চোখ বুজে গলাধঃকরণ করে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধরনের সাধারণ খাবার থেকেই কিন্তু ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সাংঘাতিক পেটের রোগ হয়। এমনকি শরীরে বিষক্রিয়া হয়ে প্রাণ সংশয় হয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে বহু।
কী ধরনের খাবার থেকে সতর্ক থাকা উচিত?
১) পাউরুটি:
বেকারিতে তৈরি হয়ে প্যাকেটজাত হওয়ার পর পাউরুটি বেশি দিন ফেলে রাখা যায় না। কত দিনের মধ্যে তা খেয়ে ফেলতে হবে, প্যাকেটের গায়ে তা নির্দিষ্ট করে বলা থাকে। আর বেশি দিন ফেলে রাখলে পাউরুটির গায়ে ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার মতো পরজীবীরা বাসা বাঁধে। এই ধরনের খাবার খেলে যেমন পেটের গোলমাল হতে পারে, তেমন অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
২) চিজ়:
চিজ় তৈরি করতেই অনেক দিন সময় লাগে। তার পর আবার যদি তা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তা হলে চিজ়ের মধ্যে লিস্টেরিয়া, ই-কোলাইয়ের মতো ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। এই ধরনের খাবার খেলেও পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩) সামুদ্রিক খাবার:
টিনজাত সামুদ্রিক খাবারেরও নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা পেরিয়ে যাওয়ার পর কখনওই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। শরীরের মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে এই ধরনের সামুদ্রিক খাবার থেকে।
৪) ডিম:
বিপদে-আপদে কাজে লাগবে ভেবে বাড়িতে অনেকেই ডিম মজুত করে রাখেন। যদিও দোকান থেকে কিনে আনা ডিমের গায়ে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ লেখা থাকে না। তবে ডিম ভাল থাকার কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। পচে যাওয়া ডিম খেলেও কিন্তু বিপদ হতে পারে।
৫) দুধ:
দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই ধরনের খাবার বেশি দিন রেখে দেওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ দুধ খেলেও পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।