IVF Pregnancy

স্বামী নয়, অন্য শুক্রাণুদাতার সন্তান মহিলার শরীরে! হাসপাতালকে কী মাসুল দিতে হল?

মহিলার শরীরে অন্য ব্যক্তির শুক্রাণু প্রবেশ করানোর অপরাধে পশ্চিম দিল্লির এক হাসপাতালকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৪:২৬
Share:

‘গুড নিউজ়’ ছবিতে করিনা কপূর ও কিয়ারা আডবাণীর শরীরেও অন্য পুরুষের শুক্রাণু প্রবেশ করিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত।

‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ (আইভিএফ) পদ্ধতির মাধ্যমে মহিলার শরীরে অচেনা ব্যক্তির শুক্রাণু ইনজেক্ট করার অপরাধে পশ্চিম দিল্লির এক হাসপাতালকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল বছর ১৫ আগে। ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই মহিলার স্বামী জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের (এনসিডিআরসি) কাছে দ্বারস্থ হন।

Advertisement

দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলার শুনানি চলার পর আদালত ভাটিয়া গ্লোবাল হাসপাতাল এবং এন্ডোসার্জারি ইনস্টিটিউটেরর চেয়ারম্যান এবং পরিচালককে সম্মিলিত ভাবে ওই পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের এনসিডিআরসি-এর ভোক্তা সহায়তা তহবিলে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা জমা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকসহ আরও দুই জন হাসপাতালকর্মীকে ওই পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আদালতের তরফে অভিযুক্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য ছ’ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা দিতে না পারলে তাঁদের ওই টাকার উপরে বছরে আট শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে।

Advertisement

আইভিএফ পদ্ধতিতে ওই মহিলার যমজ সন্তান হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণের টাকা ওই দুই যমজ সন্তানের নামে ফিক্সড ডিপোসিট করেই রাখতে হবে অভিভাবককে।

২০০৮-২০০৯ সালের মাঝে ওই মহিলা ডিএনএ পরীক্ষা করান। রিপোর্ট অনুযায়ী ওই যমজ সন্তানদের মধ্যে একজনের শরীরে এক ‘এবি’ পজ়িটিভ রক্তের খোঁজ মেলে। অথচ ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীর শরীরে ‘বি’ পজ়িটিভ এবং ‘ও’ পজ়িটিভ রক্ত বইছে। এই রিপোর্ট দেখেই যমজ সন্তানের বাবা-মা জানতে পারেন, অন্য কোনও শুক্রাণুদাতার শুক্রাণু ওই মহিলার শরীরে ঢোকানো হয়েছে। মহিলার স্বামী আদালতে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলা চলার পর ন্যায় শেষমেশ বিচার পেলেন স্বামী-স্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement