— প্রতীকী ছবি।
প্রখর গরম থেকে রেহাই পাওয়া, খিচুড়ি-ইলিশের আনন্দ, মেঘলা দিনে জানলার দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি উপভোগ— এই সব কিছু যদি বর্ষার ভাল দিক হয়, তবে জলকাদা, জামাকাপড় শুকনো করার অসুবিধা, নানা অসুখ, সর্দি-কাশি অবশ্যই এই মরসুমের খারাপ দিক। তার উপর এই বর্ষায় ভিজে ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য কিছু ছত্রাকঘটিত রোগের চোখরাঙানিও আছে।
বর্ষার মরসুমে ছোট থেকে বড়— ছত্রাকঘটিত রোগের জ্বালায় সকলকেই কমবেশি ভুগতে হয়। কী ভাবে রেহাই পাবেন এই রোগের প্রকোপ থেকে? চিকিৎসক শুভম সাহা আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘বর্ষার মরসুমে অন্যতম সমস্যা জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। সেই ভিজে জামা পড়েই অফিস, স্কুল-কলেজে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। এ কারণেই কিন্তু শরীরে ছত্রাকঘটিত রোগ হানা দেয়। ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। গন্তব্যে গিয়ে তা বদলে ফেলতে পারলে খুবই ভাল হয়। এক সেট অতিরিক্ত মোজাও রাখুন ব্যাগে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে ভিজলে বাড়ি ফিরেই গরম জল-সাবান দিয়ে স্নান সারুন। মাথায় বৃষ্টির জল বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তো আছেই, সঙ্গে বৃষ্টির জল থেকে মাথার ত্বকেও ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। অন্তর্বাস থেকেও রোগ ছড়ায় এই মরসুমে। তাই ভেজা অন্তর্বাস খুব বেশি ক্ষণ পরে না থাকাই ভাল। জিমে শরীরচর্চার পর ঘাম বেশি হয়, সেই ঘামযুক্ত জামাকাপড়গুলি বাড়ি ফিরেই বদলে ফেলুন। খুব ভাল হয় জিম থেকে ফেরার পর ভাল করে এক বার স্নান করে নিলে।’’
বর্ষাকালে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে সাবধান থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় ছত্রাকের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে আর কী কী মেনে চলবেন?
১) স্নানের পর ভাল করে গা মুছতে হবে। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা জল ভাল করে মুছে নিয়ে তবে জামাকাপড় পড়ুন।
২) এই সময় জিন্স কিংবা খুব বেশি চাপা ট্রাউজার্স না পরাই ভাল। ছত্রাকের সংক্রমণ এড়াতে ঢিলেঢিলে ট্রাউজার্স এবং পোশাক পরাই ভাল।
৩) সম্ভব হলে প্রতি দিন তোয়ালে কাচুন। দীর্ঘ দিন একই তোয়ালে ব্যবহার করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
৪) এক দিন অন্তর অন্তর অন্তর্বাস বদলে ফেলুন। নইলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
৫) ভিজে জুতো পারবেন না ভুলেও। জুতো ভিজে গেলে সেই জুতো সম্পূর্ণ না শুকোলে পরবেন না।