সাত দিনেই কি একদম করোনা-মুক্ত হওয়া সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত
উপসর্গহীন কিংবা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিভৃত বাসের সময় কমিয়ে সাত দিন করা হয়েছে আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে। দেশজুড়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বড় অংশ এক ধাক্কায় কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর এই খবর কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত আর এর ফলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে এসে চিকিৎসক শুভ্র রায়চৌধুরী কিছুটা হলেও দূর করলেন সেই সংশয়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আনন্দবাজার অনলাইনকে শুভ্রবাবু জানান, আমেরিকাতে এই নিভৃতবাসে থাকার সময় ইতিমধ্যেই কমিয়ে করা হয়েছে পাঁত দিন, ব্রিটেন ও ভারতের ক্ষেত্রে আপাতত নিভৃতবাসে থাকতে হবে সাত দিন করে। এর পেছনে যে কারণটি উঠে আসছে তা হল, এই করোনা-স্ফীতির ধাক্কায় প্রথমেই বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকের পরিজনদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে সংক্রমণ। কাজেই সব মিলিয়ে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে একসঙ্গে বেশ বড় সংখ্যক কর্মীকে যেতে হচ্ছে নিভৃতবাসে। ফলে কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা। এই অবস্থায় পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি একটি সিদ্ধান্ত বলেই মত তাঁর।
চিকিৎসক শুভ্র রায়চৌধুরীর বললেন, “এই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড তুলনামূলক ভাবে কম। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা তিন-চার দিনের মাথায় রোগী নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছেন।” কাজেই খুব একটা অসুবিধা নেই সাত দিনের মাথায় কাজে ফিরতে। বরং তাঁর মতে, অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ দিনের মাথাতেও কাজে ফিরতে পারেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে যেহেতু আইসিএমআর থেকে সাত দিন নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাই আপাতত সেটিই মেনে চলতে হবে। তবে ভবিষ্যতে এই নিভৃতবাসে থাকার সময় আরও কমতে পারে বলেই অভিমত তাঁর।