Rapid Kit

Rapid Antigen Test: বাড়িতে করা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কি আদৌ ধরা পড়ে ওমিক্রন

যেহেতু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাড়িতেই করা সম্ভব তাই অনেকেই বাজার থেকে কিট কিনে বাড়িতেই এই পরীক্ষা করে নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৩১
Share:

র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কার্যকারিতা কতটা ছবি: সংগৃহীত

কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে যেমন ব্যবহৃত হয় আরটি-পিসিআর পদ্ধতি, তেমনই অল্প সময়ে কোভিড আক্রান্তদের শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও। যেহেতু এই র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাড়িতেই করা সম্ভব তাই অনেকেই বাজার থেকে কিট কিনে বাড়িতেই এই পরীক্ষা করে নেন।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতির মূল পার্থক্য হল, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ভাইরাসের দেহে মজুত কিছু প্রোটিনকে চিহ্নিত করা হয়, আর অপর দিকে আরটি-পিসিআর’এ পরীক্ষা করা হয় আরএনএ-এর আনবিক উপাদান। বাজার চলতি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার খরচও তুলনামূলক ভাবে কম, আবার ফলও পাওয়া যায় খুব দ্রুত। তাই এর জনপ্রিয়তাতে ঘাটতি নেই। তা ছাড়া বেশি সংখ্যক মানুষের দ্রুত পরীক্ষা করতে এটি খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি।

আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড সংক্রমণ না দেখা গেলেও পিসিআর পদ্ধতিতে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে আরটি-পিসিআর প্রায় একশো শতাংশ নিখুঁত। কিন্তু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার এই ক্ষমতা কিছুটা কম। কারণ যেহেতু আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে ভাইরাসের আরএনএ-এর আনবিক উপাদান চিহ্নিত হয় তাই খুব অল্প পরিমাণ উপাদানও এতে ধরা পড়ে। আবার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে করা হয়, ফলে নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা পদ্ধতি প্রভৃতিতে গলদ থেকে যায় অনেক সময়। যেহেতু ভাইরাসটি ক্রমাগত রূপ বদল করে চলেছে, তাই এর প্রোটিনগুলিরও রূপ বদল হচ্ছে ক্রমাগত। ফলে কিছু ক্ষেত্রে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ধরা পড়ে না সংক্রমণ। বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা অপেক্ষাকৃত বেশি ঘটছে বলেই মত তাঁদের।

Advertisement

তবে কি একেবারেই বাতিল করে দেওয়া হবে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা? একেবারেই নয়। কারণ বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সংক্রমণ যদি এক বার ধরা পড়ে যায় তা হলে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। দরকার নেই আর-টি পিসিআর পরীক্ষা করারও। নিশ্চিত ভাবেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত। কিন্তু যদি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা না পড়ে অথচ দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোভিডের উপসর্গ রয়েছে তা হলে নিশ্চিত হতে করতে হবে আর টি পিসিআর পরীক্ষা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement