ছবি: সংগৃহীত
ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। শহর এবং শহরতলি জুড়ে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটা বেশ ভীতিজনক। করোনার আগের দুটি পর্ব এবং করোনা-স্ফীতির এই পর্যায়েও বারেবারে প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোভিড শিশুদের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা আড়ালেই থেকে গিয়েছে খানিকটা। সেই সঙ্গে শিশুদের করোনা সংক্রমিত হওয়া নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিও আছে। তাহলে কী শিশুদের কোভিড সংক্রমণের ভয় নেই? তা একেবারেই নয়। বরং এই পরিস্থিতিতে শিশুদের সুস্থ রাখতে দরকার বাড়তি সচেতনতা। কোনও শিশু করোনা আক্রান্ত হলে কী ধরনের উপসর্গ ধরা পড়ে বা কোন বয়সের শিশুর করোনা পরীক্ষা করা যায় ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে স্পষ্ট করলেন শহরের প্রথিতযশা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ত্রিদিব বন্দোপাধ্যায়।
বাচ্চাদের করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। ত্রিদিববাবু বললেন, ‘‘শিশুদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা মারাত্মক। আমার কাছে এবং আমার অন্যান্য চিকিৎসক বন্ধুর কাছে প্রতিদিন প্রায় ৫০টি করে ফোন আসে এই বিষয়।’’
ছবি: সংগৃহীত
প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের উপসর্গের ক্ষেত্রে কী কোনও পার্থক্য আছে?
ত্রিদিববাবু বলেন, ‘‘জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি উপসর্গগুলিই শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।’’
উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করাটা জরুরি। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে সেটি কতটা সহজসাধ্য?
ত্রিদিব বাবু বললেন, ‘‘যে পরীক্ষাটি সবচেয়ে কার্যকর তার সোয়্যাব নেওয়া হয় নাক দিয়ে। সেটা বাচ্চাদের পক্ষে সমস্যাজনক হতে পারে। তাই অনেকেই গলার সোয়্যাব নিয়ে পরীক্ষা করেন। সেক্ষেত্রে অনেকসময় পরীক্ষার ফলাফল ভুল চলে আসে। তাই আমার মতে ৬ মাসের উপরের বয়সিদের ক্ষেত্রে নাক দিয়েই সোয়্যাব নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।’’