ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে অনেক বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
সারা বিশ্বে ডায়াবিটিসের সমস্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে ডায়াবিটিসকে নিঃশব্দ ঘাতক বলে ব্যাখ্যা করে থাকেন চিকিৎসকরা। সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়ে। ডায়াবিটিসের কারণে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, কি়ডনির সমস্যা, লিভারের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবিটিসের কারণে কম বয়সে চোখ খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। এ ছাড়াও ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম(পিসিওস)’-এর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে অনেক বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় মানতে হবে বিধিনিষেধ। জীবনধারাতেও আনতে হবে বদল।
ডায়াবিটিস কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা অনেকাংশ সময়ে নির্ভর করে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার উপর। স্বাস্থ্য উপকারী ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি তেমনই সময় মতো খাবার খাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সন্ধের পর থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি, ‘দ্য জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত হয়েছে, দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে ডায়াবিটিস রোগীদের নৈশভোজে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা অন্যান্য খাবার এমনিতেই শরীরের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। তবে খেতে হলে একেবারেই পরিমিত পরিমাণে দিনের বেলায় খাওয়া যেতে পারে। রাতে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন।
গবেষকদের মতে, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে জীবনযাপন এবং খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। সবুজ শাকসব্জি, ফল, মাছ বেশি করে খান। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সন্ধের পর থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।