ভুঁড়ি কমানোর জন্য প্ল্যাঙ্ক অব্যর্থ, এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর সাইড প্ল্যাঙ্ক। ছবি: শাটারস্টক
কর্মব্যস্ত জীবনে সারা দিনের দৌড়ঝাঁপের ঠেলায় খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, ডায়েটের তোয়াক্কা না করা আর শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কারণে পেটের আনাচ-কানাচে জমছে মেদ! বাড়ছে ভুঁড়ি। অথচ হাতে মাত্র এক-দু’মিনিট সময় থাকলেই সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারেন।
ভুঁড়ি কমাতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নানা রকম শরীরচর্চায় ডুবে থাকতে হবে এমনটা নয়। খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানা ও মিনিট পনেরো প্ল্যাঙ্কেই জব্দ হবে পেটের মেদ। পেট ও কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্ল্যাঙ্ক দারুণ উপকারী। বরং অফিস থেকে ফিরে প্ল্যাঙ্কের জন্য রাখুন মিনিটখানেক সময়। এতে কী কী উপকার পাবেন জানেন?
ভুঁড়ি কমানোর জন্য প্ল্যাঙ্ক অব্যর্থ। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর সাইড প্ল্যাঙ্ক। এটি নিয়মিত অভ্যাসের ফলে পেট ও কোমরের কোর পেশির শক্তি বাড়়ে। পেশি টানটান হয়, সঙ্গে মেদ জমে থাকার অবকাশও পায় না। এই জাতীয় প্ল্যাঙ্ক আসলে মেরুদণ্ডের ভিতরের পেশিগুলিরও জোর বাড়ায় ও শক্তপোক্ত করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
তবে প্রথমেই কি এক-দু’মিনিট ধরে রাখতে পারবেন প্ল্যাঙ্ক? অনভ্যস্ত শরীর হলে সেই চেষ্টা ভুলেও নয়। বরং ১০ সেকেন্ড, ২০ সেকেন্ড করে ঘড়ি ধরে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন সময়সীমা।
প্ল্যাঙ্ক করার সময়ে কোন ভুলগুলি অনেকে করেন?
১) ব্যায়াম করতে করতে ঠিক সময়ে শ্বাস না ছাড়লে প্ল্যাঙ্ক করার উপকার মেলে না।
২) প্ল্যাঙ্ক করতে করতে ঘাড় নিচু করে তাকানো থাকা উচিত নয়। মাথা উপরে তুললেও হবে না। দৃষ্টি রাখতে হবে একেবারে সোজাসুজি। না হলে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন।
নিয়মিত প্ল্যাঙ্কের অভ্যাসের ফলে পেট ও কোমরের কোর পেশির শক্তি বাড়়ে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) প্ল্যাঙ্ক করতে করতে হাঁটু ও পিঠ বেঁকিয়ে ফেলবেন না। তা হলেও ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
৪) প্ল্যাঙ্ক করলে শরীরের ব্যথা কমে যাবে কি? এ নিয়ে কিছুটা ভুল ধারণা আছে। তবে এতে আদতে কোনও উপকার হয় না। ব্যথা কমলে তবেই প্ল্যাঙ্ক করা উচিত। না হলে পেশিতে টান লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।