কোন ভুলে কিছুতেই কমছে না ওজন। ছবি: সংগৃহীত।
ছিপছিপে শরীর পেতে কি মেপে খাওয়া-দাওয়া করছেন? সঙ্গে চলছে যোগ-প্রাণায়ামও? তবু লাভ হচ্ছে না? বুঝতে পারছেন না, কেন ফল মিলছে না! তা হলে আরও এক বার তলিয়ে ভাবুন। ৫ সাধারণ ভুলে অধরা থেকে যেতে পারে আপনার লক্ষ্য।
১. বেশি খাওয়া
ওট্স, ডালিয়া, ফল নিয়মিত খাচ্ছেন। কিন্তু, স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বেশি খাওয়া যাবে, এমনটা নয়। প্রথমে দেখতে হবে, ওজন কত। তার পর লক্ষ্য স্থির করতে হবে, আগামী দু’মাসে কত কেজি ওজন কমাতে চান। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন কত ক্যালোরির খাবার খাবেন, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। ক্যালোরি মেপে খেতে হবে দিনভর। তাই ওট্স, ফল, ভাত, মাছ কখন ঠিক কতটা পরিমাণে খাবেন, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।
২. ব্যালান্স ডায়েট
শুধু ক্যালোরি মেপে স্বাস্থ্যকর খাওয়াই নয়, মেদ ঝরাতে ডায়েটে ভারসাম্য আনাও খুব জরুরি। শরীরের জন্য শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, সবটাই দরকার। সেই সঙ্গে ভিটামিন, খনিজও প্রয়োজন। সারা দিনের খাবারে কতটা প্রোটিন, কতটা শর্করা খেতে হবে, তার ভারসাম্য রাখা জরুরি। এর সঙ্গে প্রয়োজন, সঠিক ভাবে শরীরচর্চা। ডায়েট সঠিক না হলে যতই স্বাস্থ্যকর খান, ওজন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
৩. খাবার বাদ দেওয়া
অনেকে মনে করেন, সারা দিনে যতটা ক্যালোরি প্রয়োজন, সেই পরিমাণ খাবার যে কোনও সময় খেলেই হবে। তাই সকালে যদি বেশি খেয়ে ফেলেন, অনেকের ধারণা হয়, দুপুরের খাবার বাদ দিলেই ক্যালোরির অঙ্ক মিলে যাবে। এটা ভুল। দিনে চার থেকে পাঁচ বার নিয়ম মেনেই খেতে হবে। গবেষণা বলছে, আচমকা দুপুরের বা রাতের খাবার বাদ দিলে সেই সময় বিপাকহার কমে যায়। যা পরোক্ষে ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৪. কম খাওয়া
প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া কিন্তু ওজন কমানোর চাবিকাঠি হতে পারে না। বরং কম খাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। আচমকা রক্তচাপ কমে মাথা ঘুরে যেতে পারে। কম খেলে বিপাক হারও শ্লথ হয়ে যায়। যা ওজন কমার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই কম খাওয়া নয়, পুষ্টিকর খাওয়া, শরীরের যতটা প্রয়োজন, ততটাই খেতে হবে।
৫. কোন ভুলে বৃদ্ধি পায় ক্যালোরি
খাচ্ছেন স্যালাড, কিন্তু মেয়োনিজ়, প্রচুর অলিভ অয়েল মিশিয়ে। কিংবা কম তেলের সব্জিতে স্বাদ আনতে চিনি দিয়ে দিলেন। এতেই কিন্তু আপনার পরিশ্রম বৃথা হয়ে যেতে পারে। চিনির পরিমাণ খাবারে কমাতে হবে। স্বাদ বাড়াতে যথেচ্ছ চিজ়, মেয়োনিজ় খেলে কিন্তু হবে না।