ঘাম দিয়ে যায় চেনা! ছবি : সংগৃহীত
বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে কাচা জামা পরে, সুগন্ধি মেখে সেজেগুজে হয়ে বেরোলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে ঘেমে-নেয়ে অবস্থা খারাপ। শুধু কি ঘাম? তার সঙ্গে ঘামের এমন দুর্গন্ধ যে, নিজেই বেশি ক্ষণ হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। অবশ্য সকলে যে একই রকম ভাবে ঘামেন বা সকলের ঘামেই যে গন্ধ হয়, তেমনটা কিন্তু নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতো ঘামও একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হল ত্বকে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া।
প্রাথমিক ভাবে ঘাম কম হওয়ার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। শরীরের যে যে অংশে ঘাম হয়, সেই জায়গাগুলি ভাল করে ধুয়ে, রোমহীন রাখলে এবং অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া সুগন্ধি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কিন্তু এত কিছু করেও ঘামের গন্ধ বদলানো যায় কি?
আপাত ভাবে আদা, রসুন বেশি খেলে সেই গন্ধ ঘামের সঙ্গে শরীরের বাইরে আসতেই পারে। তাই সেই জাতীয় জিনিস না খেলেই এর থেকে মুক্তি মিলবে। কফি, মদ জাতীয় পানীয় কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতি দিনের ডায়েটে অবশ্যই লেবু জাতীয় ফল রাখতে হবে।
কার ঘামের গন্ধ কেমন হবে, তা নির্ভর করে তার শারীরিক অবস্থার উপরেও। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন ঋতুচক্র শুরুর আগে এবং ঋতুচক্র বন্ধের সময়ে ঘামের গন্ধ পরিবর্তন হয়।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ঘামের গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পুরোপুরি পাল্টানো কখনওই সম্ভব নয়। ঘাম কম হয় এমন কাপড়ের জামা পরতে চেষ্টা করতেই নিদান দিচ্ছেন তাঁরা।