সকালবেলা এই পরীক্ষা করার আদর্শ সময়। ছবি: সংগৃহীত
অন্তঃসত্ত্বা হলেন কি না, তা ঝটপট ও প্রায় নির্ভুল ভাবে জানতে ইদানীং বাড়িতেই বিশেষ কিট ব্যবহার করেন সকলে। এই ধরনের কিটের তাই চাহিদাও তুঙ্গে। এই যন্ত্রের ব্যবহারও সহজ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোনের উপস্থিতি প্রস্রাবেও ধরা পড়ে। তার মাধ্যমেই যানা যায় আদৌ আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না?
কিন্তু অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন সঠিক উপায়ে যন্ত্রটি ব্যবহার করা নিয়ে। ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও অনেকের মনে সংশয় দেখা দেয়। অনেকেরই মনে আবার প্রশ্ন থাকে, এক বার ব্যবহার করার পর কি পুনরায় সেই কিট ব্যবহার করা যেতে পারে?
এই প্রকার কিটের ফলাফল কতটা সঠিক আসবে তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন আপনি দিনের কোন সময় পরীক্ষাটি করছেন, পরীক্ষটি করা আগে কত ক্ষণ আপনি প্রস্রাব করেননি, পরীক্ষার সময়ে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি ছিল কি না, পরীক্ষার জন্য যে কিটটি ব্যবহার করছেন তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না— এই সব নানা খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার পরীক্ষার ফলাফল কতটা সঠিক আসবে। সঠিক ফলাফল পেতে এই সব কারণ বিবেচনা করা প্রয়োজন এবং প্যাকেজে উল্লিখিত নির্দেশ অনুসারেই পরীক্ষাটি করা উচিত।
প্রতীকী ছবি
পরীক্ষা করার সময়ে এক বার আপনি স্ট্রিপের উপর প্রস্রাব দিয়ে দিলে রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জানা যায়, আপনি গর্ভবতী কি না। এক বার রাসায়নিক প্রক্রিয়া হয়ে গেলে পুনরায় এটি নাও হতে পারে। তাই এক বার ব্যবহার করে এই কিট ফেলে দেওয়াও ভাল। কারণ ফলাফল ভুল এলে আপনি অযথা বিভ্রান্ত হতে পারেন।
বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা কি না তা জানার জন্য ঠিক কোন সময় পরীক্ষাটি করা উচিত?
১) আপনার যদি নিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, তা হলে কোন মাসে ঋতুস্রাব না হলে তার পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
২) ঋতুস্রাব অনিয়মিত হলে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে তার পরেই পরীক্ষা করা ভাল।
৩) সকালবেলা এই পরীক্ষা করার আদর্শ সময়। এই সময় শরীরে এইচসিজি হরমোনের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রস্রাব সংগ্রহ করে এই পরীক্ষাটি করতে পারলে ফলাফল সছিক আসার সম্ভাবনা সর্বাধিক।