অনেকেরই ধারণা, অতিরিক্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শরীরে গিয়ে কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। ছবি- সংগৃহীত
কম সময়ে তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে কার্ব একেবারে বাদ না দিলেও খাবারের তালিকায় প্রোটিন থাকে ভরপুর। এমনিতেই এত দিন ধরে এক রকম খাবারে অভ্যস্ত শরীর হঠাৎ নতুন নিয়মে গিয়ে পড়লে চট করে তাতে অভ্যস্ত হতে পারে না। তার উপর অতিরিক্ত পরিশ্রম, সঙ্গে তিন বেলা ডাল, ডিম, মাংস খেয়ে শরীরে প্রোটিনের জোগান দিয়েই চলেছেন। অনেকেরই ধারণা, অতিরিক্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শরীরে গিয়ে কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে পরবর্তী কালে কিডনি বিকলও হতে যেতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন অন্য কথা। মানবদেহের সমস্ত কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ওজন ঝরানো নয়, দেহের অভ্যন্তরে নানা রকম শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যৌগ হল প্রোটিন।
খাবারের চেয়েও কিডনির বেশি ক্ষতি হয় মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে। ছবি- সংগৃহীত
প্রোটিন বেশি খেলে কি কিডনি বিকল হতে পারে?
অতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির আগে যে সমস্যা করতে পারে, তা হল হজমের। তাই এই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে থাকার কোনও মানেই হয় না।
প্রোটিন নয়, তা হলে কিডনির ক্ষতি হয় কিসে?
খাবারের চেয়েও কিডনির বেশি ক্ষতি হয় মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে। ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে শরীরে বাড়তে থাকা ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ রক্তে ইনসুলিন এবং গ্লুকোজ়ের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। কিডনির বিকল হওয়ার নেপথ্যে যে কারণটি দায়ী, তা হল রক্তে শর্করার মাত্রা। তাই কিডনির স্বাস্থ্য যদি ভাল রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে শুধু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হবে।