নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই দেহের ভার গিয়ে পড়ে ওই পদযুগলের উপর। ছবি- সংগৃহীত
কেউ সকাল থেকে ভরদুপুর পর্যন্ত হেঁশেলে একটানা দাঁড়িয়ে রান্না করেন। আবার কেউ বাইরে রাস্তায়, অফিসে বা শপিং মলে দাঁড়িয়ে নানা রকম কাজ করেন। দিনের শেষে কোমর, পায়ে ব্যথার অনুভূতি সকলেরই হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই দেহের ভার গিয়ে পড়ে ওই পদযুগলের উপর। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরা প্রথমেই পরামর্শ দেন ওজন কমানোর। কিন্তু সে তো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তৎক্ষণাৎ আরাম পেতে গেলে একটি ব্যায়াম করলেই উপকার মিলবে।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন এই ব্যায়াম?
প্রথমে দেওয়ালের দিকে পা করে, সোজা হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। ধীরে ধীরে পা দেওয়ালের উপর তুলতে থাকুন। এমন ভাবে পা দেওয়ালে রাখবেন, যেন আপনার পা দু’টি দেওয়ালের বিপরীতে সমান্তরাল ভাবে থাকে। কোমর থাকবে মেঝে এবং দেওয়ালের সংযোগস্থলে। এই অবস্থা ধরে রাখুন ১ মিনিট। পা নামিয়ে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিন। একই ভাবে ৫ বার করুন।
পা, কোমরের ব্যথা থেকে তৎক্ষণাৎ আরাম পেতে গেলে একটি মাত্র ব্যায়ামেই উপকার মিলবে। ছবি- সংগৃহীত
পা উঁচু করে তুলে রাখলে শরীরে কোন কোন অঙ্গ ভাল থাকে?
১) রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়
সাধারণত মাথা থেকে পা, এই অভিমুখে গোটা দেহে রক্ত সঞ্চালন হয়। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে গিয়ে পা উল্টো করে রাখলে রক্ত আবার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। সারা দিন দাঁড়িয়ে কাজ করার পর পা ফোলা, পায়ে ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে।
২) রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে না
দীর্ঘ ক্ষণ পায়ের উপর চাপ পড়লে অনেকেরই পায়ের ত্বকের উপর রক্তজালিকা ফুটে ওঠে। কারও পায়ে আবার রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যাও দেখা যায়। পা উল্টো করে দেওয়ালের দিকে তুলে রাখলে রক্তের সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত তরল পায়ে জমতে পারে না।
৩) হ্যামস্ট্রিং এবং কোমর আরাম পায়
খুব কষ্টকর না হলেও এই ব্যায়ামে হালকা স্ট্রেচ হয়। ফলে হ্যামস্ট্রিং, গ্লুট্স, হিপ এবং মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত চাপ কিছুটা হলেও কমে।